নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে হলফনামা দাখিল করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) চেয়ারম্যান দীনেশকুমার খাড়া দাবি করেছেন যে সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, কারণ সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা ব্যাহত হতে পারে। সেইসঙ্গে যাঁরা নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন, সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণে তাঁদেরও কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তাছাড়া এসবিআইয়ের সিস্টেমে সেই সংক্রান্ত তথ্যও ছিল না বলে দাবি করেছেন ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। সেইসঙ্গে এসবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই তথ্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য সেটা প্রয়োজনীয় নয়।
সুপ্রিম কোর্টের নতুন করে ভর্ৎসিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার হলফনামা পেশ করে এসবিআইয়ের তরফ জানানো হয়েছে যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাতে যা যা তথ্য ছিল, তা ২১ মার্চ নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য ছাড়া বাকি সব তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে এসবিআই। ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে দাবি করা হয়েছে যে সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণেই ওই তথ্য প্রকাশ করতে পারছে না এসবিআই।
গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল যে বেছে-বেছে তথ্য প্রকাশের প্রবণতা ছাড়তে হবে। নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যা যা তথ্য আছে, তা ২১ মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করার জন্য এসবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। সেইসঙ্গে ইউনিক বন্ড নম্বর জমা দিতে হবে বলে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। যা নির্বাচনী বন্ডের ক্রেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের (যে দল নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে) তথ্য মেলাতে পারবে।
আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ইউনিক নম্বর প্রকাশ করার ফলে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত পাঁচটি তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। প্রথমত, বন্ডের ক্রেতাদের নাম। দ্বিতীয়ত, কত টাকা মূল্যের নির্বাচনী বন্ড। তৃতীয়ত, কোন দল নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়েছে। চতুর্থত, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের শেষ চারটি নম্বর। পঞ্চমত, যে বন্ড ভাঙানো হয়েছে, সেই বন্ডের নম্বর।