দুর্নীতি–তোলাবাজিতে জড়িত থাকলে যত বড় নেতাই হোক তাঁকে রেয়াত করা হবে না। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই কথা বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকেও এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ফেসবুক পোস্ট করে সেই বার্তা তুলে ধরেছেন। যদিও প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন করেছেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তিনি তোলাবাজদের কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছেন।
ঠিক কী লিখেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ? আজ ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন যে দলকে সামনে রেখে কোনও তোলাবাজি করা যাবে না—চাকরি দেওয়ার নাম করে, টেট প্যানেলে নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে নির্ভয়ে এখুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন। ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনও কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হন না কেন, একদিন না একদিন ধরা পড়বেনই—তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন, চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি।’
উল্লেখ্য, বিজেপি একাধিকবার অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস তোলাবাজি করছে। স্বয়ং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রাক্তন দলকে তোলামূল পার্টি বলছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদের এমন মন্তব্য তাতে সিলমোহর দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তাপসকুমার সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
এখন পর পর এই বার্তায় রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যখন কৃষ্ণনগরের সাংসদ এমন ফেসবুক পোস্ট করছেন তখন বাসন্তীর বিধায়ক তোলাবাজদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। যার জন্য তিনি বাড়তি নিরাপত্তার আবেদন করেছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী সমস্যা আরও গভীরে? যার সমাধান করতে চেয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে।