বিচারপতির আসন ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন। তারপরে তমলুক কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থীও করেছে বিজেপি। বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন সিদ্ধান্তে আগেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। আর এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবেন চাকরিহারারা।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য! বড় চমক প্রার্থী তালিকায়
জানা গিয়েছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লিফলেট তৈরি করছেন চাকরিহারারা। তারা সেই লিফলেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন। তাছাড়া ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিজিতের বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছেন তারা। প্রসঙ্গত, বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই সময় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গেলেও সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। পরে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল। সেই মামলা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে এর ফলে শিক্ষকদের যে সম্মানহানি হয়েছে তার জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন তারা।
তাদের দাবি, বিচারপতি পদে থাকার সময় সরাসরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে রায় দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কখনই বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ বিচার করেননি। রাজনীতিতে যোগদানের আগে শুধু নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য এমন রায় দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশগুলি দিয়েছিলেন সেগুলির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।
তাদের বক্তব্য, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের পরে তাদের সামাজে সম্মানহানি হয়েছে। সেই সময় একজন প্রকৃত বিচারপতির মতো তিনি রায় দেননি। এতদিন বিচারপতি পদে থাকাকালীন অবশ্য আদালত অবমাননার ভয়ে এনিয়ে সেভাবে প্রচারে নামতে পারেননি ওই প্রার্থীরা। তবে এখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপি নেতা। তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নামার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। তাই অভিজিতের বিরুদ্ধে তারা প্রচারে নামছেন।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সময় বলেছিলেন, এত নিয়োগ হয়েছে তার মধ্যে কোথায় দুর্নীতি হয়েছে তা খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। তাই সকলের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে এক শিক্ষকের বক্তব্য, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে সেই সময় তাদের কাছ থেকে চাকরি কেড়েছিলেন। তাদের বক্তব্য, অনেকেই আছেন যারা দুর্নীতি করে চাকরি পাননি। নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের ফলে তাদের সম্মানহানি হয়েছে। তাই তারা পথে নামছে। যদিও এ বিষয়ে কোনও উত্তর দিতে চাননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেবো না।’