‘টিউশন পড়ানো বন্ধ না করলে প্রাণে মেরে দেবো।’ এমনই হুমকি পোস্টার পড়ল এক গৃহ শিক্ষকের বাড়ির দেওয়ালে। যা নিয়ে কার্যত আতঙ্কে শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি খাস কলকাতার বেহালার সেনহাটি কলোনির। গতকাল সোমবার বাড়ির দেওয়ালে এরকম হুমকি পোস্টার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজ্ঞানের গৃহ শিক্ষক অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বেহালা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই শিক্ষক। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘কেমন আছেন স্যার?’ প্রশ্ন করেই শিক্ষকের পেটে গুলি দুই পড়ুয়ার, কিন্তু কেন?
বেহালার ওই বাড়িতে গৃহ শিক্ষক নিজের স্ত্রী, ছোট্ট শিশু এবং বাবা-মাকে নিয়ে থাকেন। তিনি জানান, গত ছয় বছর ধরে তিনি নিজের কোচিংয়ে বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন। গতকাল বিকেলে হঠাৎই দেখতে পান তাঁর বাড়ির দেওয়ালে ল্যামিনেশন করা পোস্টার লাগানো। তাতে লেখা রয়েছে, ‘অর্ণব তুই টিউশন বন্ধ কর নাহলে তোর জীবন শেষ করে দেব।’ এই পোস্টার দেখে কার্যত আতঙ্কে রয়েছেন অর্ণব বাবুর পরিবার। তাঁর স্ত্রী দেবযানী গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, একমাস যাবত তাদেরকে কেউ বা কারা বিরক্ত করছে। চকলেট বোম, কাচের বোতল, বাল্বের টুকরো তাঁদের বাড়িতে ফেলা হচ্ছে। পড়ানোর সময় ছাত্রীদের লক্ষ্য করেও কয়েকবার কাচের বোতল ছোড়া হয়েছে। যদিও কারুর আঘাত লাগেনি বলে অভিযোগ দেবযানীর। কে বা কারা কেন এরকম ঘটনা ঘটাচ্ছে তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। এই অশান্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য কয়েকদিন আগেই নিজের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগান অর্ণব বাবু। তাতেই দেখা যায় গামোছা পরে ছাতা হাতে এক ব্যক্তি দেওয়ালে হুমকি পোস্টার লাগাচ্ছেন। তাতেই প্রাণে মেতে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে মাথার উপরে ছাড়া থাকায় ওই ব্যক্তিকে ঠিকমতো চেনা যায়নি। তবে ওই ব্যক্তি যে পোশাক পড়েছিলেন তাতে গৃহ শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের অনুমান, তিনি এলাকারই বাসিন্দা। যদিও মুখ দেখতে না পাওয়ায় সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না কেউই।
শিক্ষকের স্ত্রী জানান, এর আগে এই ধরনের ছোটখাট ঘটনা ঘটেছে। তবে সেই সময় থানায় জানানোর পর পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছিল। মাঝখানে বন্ধ থাকার পর এবার পোস্টার লাগানো হল। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পুলিশ দ্রুত এই ঘটনায় পদক্ষেপ করুক। আমাদের বাড়িতে ছোট্ট শিশু রয়েছে। ঘটনা পর থেকে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’ ইতিমধ্যেই বেহালা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বেহালা থানার পুলিশ।