সোমবারই ভুয়ো জাতি প্রমাণপত্র তৈরি করে তার ভিত্তিতে ডাক্তারিতে ভর্তির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার একই ধরণের অভিযোগে সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা নয়ছয়ের তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসককে কমিটি গড়ে এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মামলাকারী মির সেলমিরে আইনজীবীর দাবি, উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভুয়ো জাতি প্রমাণপত্র দেখিয়ে সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা তুলে নিচ্ছেন কয়েকজন। একটি চক্র এর পিছনে কজ করছে। এমনকী ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা গিয়েছে। এর ফলে যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। মামলাকারীর আইনজীবী, সরকারি কর্মীদের একাংশ এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। নইলে এভাবে ভুয়ো জাতি প্রমাণপত্র দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব নয়।
পালটা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, মামলাকারী নিজে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। নইলে তিনি তিনি স্কলারশিপ পাচ্ছেন কী করে?
অভিযোগ শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, অভিযোগ গুরুতর। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে দল গঠন করে এই দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। যদি অযোগ্য কেউ টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে তার কাছ থেকে সুদ সমেত টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।