WBCERC: অভিযোগ জানানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার চালু করবে স্বাস্থ্য কমিশন

কমিশনের সদস্যরা গত বুধবার একটি বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা সফরে যাবেন কমিশনের সদস্যরা।

সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরবে কমিশনের প্রতিনিধিরা। (Freepik)

পাহাড় প্রমাণ বিল, অযথা টেস্ট, চিকিৎসায় গাফিলতি ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীর পরিবারের অভিযোগ থাকে। সেই অভিযোগ জানানোর জন্য এবার কল সেন্টার চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (ডব্লিউসিইআরসি)। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরবে কমিশনের প্রতিনিধিরা। তারা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

ডব্লিউসিইআরসি-র চেয়ারম্যান অবসরপাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগ থাকে। সেই জানাতে আমরা ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার চালু করার পরিকল্পনা করেছি। বিল নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে বা হাসপাতালে ভর্তি নিতে অস্বীকার করলে, এই কল সেন্টারগুলিতে অভিযোগ জানানো যাবে। এই ধরনের কল সেন্টার চালু করার বিষয়ে টেলিকম কোম্পানিগুলির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।'

কমিশনের সদস্যরা গত বুধবার একটি বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা সফরে যাবেন কমিশনের সদস্যরা। মালদা দিয়ে শুরু হবে তাঁদের এই সফর। জেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিধিনিদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। বেসরকারি হাসপাতালগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে চায় না। এই বিষয়টি যতটা কমিয়ে আনা যায়, জেলা সফরে সে দিকেই জোর দেবেন কমিশনের আধিকারিকরা।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, 'গ্রামের অনেকেই জানেন না কী ভাবে কমিশনে অভিযোগ জানাতে হয়। সে আমরা বাড়ি বাড়ি তা বোঝানোর চেষ্টা করব। আমরা বেসকারি হাসপাতাগুলির অধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলব।'

অভিযোগ জানানো এবং শুনানির বিষয়ে অধিকাংশ গ্রামবাসীর স্পষ্ট ধারণা নেই। তাঁদের এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা তৈরির জন্য আমরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবে কমিশনের প্রতিনিধিরা। অনেক সময় গ্রামের কোনও রোগীর পরিবারের সদস্য অভিযোগ জানালেও যখন সেই অভিযোগের শুনানি কমিশন ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে করে, সেই সময় ইন্টারনেটে স্বচ্ছন্দ না হাওয়ায় অভিযোগকারীরা শুনানিতে অংশ নিতে পারেন না। তাছাড়া অভিযোগ জানানোর জন্য জেলা কমিশনের অফিস কলকাতার বিবাদি বাগে আসতে হয়। সে কারণে দূরের জেলা থেকে কোনও অভিযোগ তেমন আসে না। অভিযোগ আসে, কলকাতা ও তার আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে।

এই জেলা সফরে কমিশনের আধিকারিকরা দেখবেন, শিশুজন্মের সময় জটিল কেসগুলি  ছোট নার্সিং হোম থেকে কী ভাবে বড় সরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসার জন্য পাঠানো যায়। এই সফরে কমিশনের প্রতিনিধিরা খতিয়ে দেখবেন অভিযোগ নিষ্পত্তির সময় কমিশনের নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ অভিযোগকারী পাচ্ছেন কি না।