বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার ওয়েবসাইটে সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে রেজাল্ট। মেধা তালিকায় জায়গা করে নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। এ সব দেখে সাধারণ মানুষের মতো স্মৃতির সরণি দিয়ে হাঁটলেন তারকারাও। এদিন নিজের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সূর্য। আরও পড়ুন-মাধ্যমিকের টেস্ট শুরুর আগেরদিন শ্য়ুটিং, দিদিমণি দেখে ফেলায় বাবাকে ডেকে বকুনি দেয়: সুদীপ্তা
অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত টেলিপাড়ার অন্যতম হার্টথ্রব নায়ক। ২৫-এর গণ্ডি পার করার আগেই চারটি হিট মেগার মুখ তিনি। পর্দার ডাক্তার সূর্য সেনগুপ্ত বাস্তবে কিন্তু মোটেই সায়েন্স ভালোবাসেন না! হ্য়াঁ, গল্প নয় এটাই রিল আর রিয়েলের ফারাক। দিব্যজ্যোতি জানালেন, ‘মাধ্য়মিকে আমি ফার্স্ট ডিভিশন পাইনি, সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েছিলাম। বেকার লুকিয়ে তো লাভ নেই, তবে সত্য়ি আমার পার্সেন্টেজটা সত্যিই মনে নেই। আমি অঙ্কে খুব খারাপ ছিলাম, আর্টসে ভালো নম্বর এসেছিল বলেই হয়ত সেকেন্ড ডিভিশনটা পেয়েছিলাম। তবে আমি বায়োলজিতে ভালো ছিলাম, জীবনবিজ্ঞানে ঠিকঠাক নম্বর এসেছিল। তবে সায়েন্সের বাকি বিষয়ে খুব বাজে মার্কস পেয়েছিলাম। মাধ্যমিকে আমার সব বিষয় পছন্দের ছিল না, তাই মোটামুটি ফল।’
তবে উচ্চ মাধ্যমিকে ছবিটা পালটেছিল। কলা বিভাগ বা আর্টসের ছাত্র ছিলেন পর্দার ডাক্তার সূর্য। বললেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যাপারটা রিকোভার হয়েছিল, আমি গোটা স্কুলের মধ্যে থার্ড হয়েছিলাম ক্লাস টুয়েলভের টেস্ট পরীক্ষায়। উচ্চ মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন নিয়েই পাশ করি’। ইতিহাসে অনার্স নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার অ্যানড্রুজ কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন দিব্যজ্যোতি, তবে স্নাতক ডিগ্রি সম্পূর্ণ করা হয়নি তাঁর। জয়ী সিরিয়ালে সুযোগ আসায় মাঝপথেই পড়া ছাড়েন দিব্যজ্যোতি।
১২ ঘন্টা শ্যুটিং করে কলেজ সামলানো মহা ঝক্কির কাজ। তবে ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করায় অনীহা দিব্যজ্যোতির। স্নাতক ডিগ্রি না থাকার আফসোস খানিক রয়েছে, বললেন- ‘আমি এডুকেশন ছাড়া কোনও ডিগ্রি চাই না। যেটা পাব সেটা আমি পড়াশোনা করে পেতে চাই। সবাই জানে আমি ফিটনেস নিয়ে বেজায় সচেতন। আমি এই মুহূর্তে নিউট্রিশন (পুষ্টি) নিয়ে ডিপ্লোমা করছি। আমি NFNA (national fitness and nutrition academy) থেকে নিউট্রিশন নিয়ে বেসিকটা সম্পূর্ণ করে ফেলেছি, ডিপ্লোমাটা চলছে’।
আপতত অভিনয়ের পাশাপাশি পুষ্টিবিদ হওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন দিব্যজ্যোতি। এই মুহূর্তে অনুরাগের ছোঁয়ায় দেখা যাচ্ছে না ডাঃ সূর্যকে। কবে ফিরবেন তিনি? প্রশ্ন অনুরাগীদের মনে। অভিনেতা জানিয়েছেন, সবটাই নির্ভরশীল গল্পের উপর। বর্তমান ট্র্যাকে সূর্যর জায়গা নেই।