চিতাবাঘের আতঙ্কে ঘুম কেড়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষের। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মুন্সিবাড়ি, ভিলকুজোত, নয়নজোত, ভুষিভিটা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনের আলোতেও চিতাবাঘ বের হওয়ায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। অবিম্বের চিতাবাঘগুলিকে ধরার দাবি তুলেছেন বনদফতরের কাছে। প্রশাসনের তরফে জঙ্গল পরিষ্কারেরও উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবারও ফের দিনের বেলায় তিনটি চিতাবাঘ দেখতে পান চা বাগানের শ্রমিকরা। এর পরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চা পাতা তোলা বাদ দিয়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাঁচেন চা শ্রমিকরা।স্থানীয়রা দাবি করেন, কিছুক্ষণ বাদেই একটি ছাগল ও একটি গরুর উপর হামলা চলায় চিতাবাঘ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়। কোনক্রমে চা বাগান থেকে গরুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বাগডোগরা বনদফতরের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া-সহ অন্যান্য কর্মীরা। তাঁরা চিতাবাঘের তল্লাশিতে নেমে পড়েন। বাজি পটকা ফাটানো হলেও চিতাবাঘের দেখা না মেলায় ফিরে যেতে হয় বনদফতরের কর্মীদের।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, প্রতিনিয়ত দিনের বেলায় যেভাবে চিতাবাঘ ঘোরাঘুরি করছে, তাতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে চা শ্রমিকরা। তারা চাইছেন অবিলম্বে চিতাবাঘগুলিকে ধরা হোক। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন ফাঁসিদেওয়ার বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার। বনদফতরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
পরে বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার বলেন, ‘চা বাগান সহ এই এলাকায় বহু জঙ্গল রয়েছে। সেইগুলিই চিতাবাঘের আশ্রয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জায়গাগুলি পরিষ্কার করার কাজ আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে করার কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কিছুদিন থেকে চিতাবাঘের আতঙ্ক বিভিন্ন এলাকায় শোনা যাচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় চা বাগান সহ বিভিন্ন জায়গায় যে জঙ্গলগুলি রয়েছে সেগুলি গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভিআরপি কর্মীদের দিয়ে জঙ্গলগুলি সাবধানতার সঙ্গে পরিষ্কার করানোর ব্যবস্থা করা হবে। চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা পাতার বিষয়টি কলকাতা থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি মিললে তবে আগামীতে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হবে।’