এক্স হ্যান্ডেলে এক চার্টার্ড অ্য়াকাউন্ট্যান্ট IAS ও CA-র বেতনের ফারাক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আর এই বেতন সংক্রান্ত বিষয়কে ঘিরে কার্যত বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। মূলত আইএএস ও সিএর বেতনের মধ্য়ে ফারাক কতটা সেটাই বোঝানো হয়েছে এই পোস্টের মাধ্য়মে। এর পাশাপাশি আইএএস আধিকারিকদের কম বেতন হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা এই চাকরি নেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
চিরাগ চৌহান নামে এক ব্যক্তি এই পোস্ট করেছেন। এই পোস্ট ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, আইএএস আধিকারিকের গড় বেতন হল একজন সিএর চাকরির শুরুতে যে বেতন থাকে তার সমান। তারপরই তিনি লিখেছেন এরপরেও কেন একজন আইএএসয়ের চাকরি নেন? সেই সঙ্গেই তিনি আইএএস আধিকারিকরা কী ধরনের বেতন পান তার একটা নমুনাও হাজির করেছেন।
এদিকে ওই ব্যক্তির এই পোস্টকে ঘিরে নানা চর্চা চলছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন টাকার জন্য নয়, একজন আইএএস যে সম্মান পান সেটার জন্য তাঁর পদের এত মর্যাদা।
আইএএস ও সিএর মধ্য়ে যে ফারাক সেটা তুলে ধরা হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, আপনি কি কোনও দিন শুনেছেন যে কোনও আইএএস গিয়ে কোনও সিএর কাছের রিপোর্টিং করছেন? সেই সিএ যদি বিরাট বড় সরকারি অফিসার বা কোনও মন্ত্রী হন সেটা পরের কথা।
অপর একজন লিখেছেন, বেশি পাওয়ার, বেশি টাকা। অপর একজন লিখেছেন, যারা আইএএসে যোগ দিতে চান তাঁরা শুধু টাকার জন্য় এই চাকরিটা নেন তেমনটা নয়, এটা আসলে তাঁদের জনসেবার একটা পথ।
অপর একজন লিখেছেন, এক পেশার সঙ্গে অপর পেশার এভাবে তুলনা হয় না। প্রতিবছর যতজন সিএ পাশ করে বের হন তার থেকেও কম হয় ভারতে প্রতি বছর পাশ করা আইএএসের সংখ্য়া। প্রতি বছর মাত্র ১৮০জন আইএএস পাশ করে বের হন। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সিএ একটি বিরাট মর্যাদা এটা বলাই যায়। তবে পেশার ব্যাপারটা শুধু বেতন দিয়ে হয় না। অনেকেরই এই পেশার সঙ্গে একটা প্যাসন যুক্ত থাকে।
সেই পোস্টে দেখানো হয়েছিল একজন আইএসএর মাসিক গ্রস স্যালারি ৫৬,০০০ টাকা থেকে ১,৫০,০০০ টাকা। একজন আইএএসের সর্বোচ্চ বেতন ক্যাবিনেট সচিব পর্যায়ে আসার পরে ২,৫০০০০ হাজার টাকা। আর একজন সিএ যখন দু বছরের প্রশিক্ষণে থাকেন তখন তার স্টাইপেন্ড হয় ৫৬,১০০ টাকা।