- জিওগ্রাফির ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা শেষ মুহূর্তে কিভাবে প্রস্তুতি নেবে? কোন বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখবে?
শেষ মুহূর্তের জন্য আমি শুরুতেই বলব, ম্যাপ পয়েন্টিং-এর দিকে নজর দিতে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সবথেকে বেশি ভুল হয় ম্যাপ পয়েন্টিং-এ। ম্যাপ পয়েন্টিং ক্ষেত্রে শেষ কয়েকদিনে ছাত্রছাত্রীদের চেষ্টা করতে হবে বইয়ের নির্দিষ্ট জায়গাগুলি দেখে ম্যাপ পয়েন্টিং করা। না দেখে আমরা এতদিন প্র্যাকটিস করেছি, কিন্তু এখন দেখে প্র্যাকটিস করলে ম্যাপের নির্দিষ্ট স্থানের accuracy আরও ভালো হবে। অবশ্যই টেস্ট পেপার ফলো করে ম্যাপ পয়েন্টিংগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে। আর ম্যাপ পয়েন্টিং এর ক্ষেত্রে আমরা অযথা স্থানগুলোর নাম বা ইনডেক্স না লিখে শুধুমাত্র প্রশ্নের নম্বরটি লিখে দিলেই হবে। যেমন ১০ নম্বর প্রশ্নের গ-তে ধরো রাজস্থানের জয়পুর চিহ্নিত করতে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন নম্বর আর জয়পুরের পাশের দাগ নম্বর দিলেই হবে। যেমন: ১০/গ।
- বড় প্রশ্নের উত্তর কীভাবে লিখবে ছাত্রছাত্রীরা?
বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাশে আমাদের ছবি আঁকতে হবে। এই ছবি আঁকার ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আমরা কোনও ড্রয়িং কম্পিটিশনে ছবি আঁকছি এমনটা নয়, কিন্তু যাতে ছবিটা স্পষ্ট হয়। এই ছবির মাধ্যমে শিক্ষকশিক্ষিকা বুঝতে পারেন, শিক্ষার্থীর সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা বা কতটা গভীরতা রয়েছে আর, ছবির তলায় অবশ্যই কী ছবি আঁকা হচ্ছে, তার ফিগার নেম দিয়ে দিতে হবে। কোনও সংজ্ঞা বা কাকে বলে দিলে তারপরে অবশ্যই আমাদের সেই বিষয়ের উদাহরণ দিয়ে দিতে হবে।
- এই বছর কোন বিষয়গুলো বা কোন জায়গাগুলো একটু ভালো করে পড়লে পরীক্ষার্থীদের নম্বরটা বাড়তে পারে বলে আপনার মনে হয়?
ধরো প্রশ্ন একটা প্রশ্ন এল, ‘জোয়ার ভাটার ফলাফল’-এর সঙ্গে অথবাতে ‘হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ’ এলে,অবশ্যই আমাদের হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ লিখতে হবে। তার কারণ হচ্ছে এখানে নম্বর অনেক বেশি উঠবে। কারণ প্রত্যেকটি ভূমিরূপ এবং তার ছবি রয়েছে, ফলে এই উত্তরটা লিখলে নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি থাকবে।
- শর্ট প্রশ্নের ক্ষেত্রে কী সাজেশন দেবেন ছাত্রছাত্রীদের জন্য?
এর ক্ষেত্রে একটা বিষয় বলার রয়েছে, অনেক সময় জিওগ্রাফির ক্ষেত্রে একটাই এমসিকিউ-এর উত্তর একাধিক হতে দেখা যায়। তখন ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই যেকোনও একটা উত্তর দিতে বলব। কারণ শিক্ষকশিক্ষিকাদের কাছে ইন্সট্রাকশন থাকে যে দুটি ঠিক তার মধ্যে কোনও একটি লিখলেই তারা নম্বর পাবে। এই নিয়ে তাদের অহেতুক চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
- যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা ঠিকভাবে সারা বছর গাইড পায়নি, একটু পিছিয়ে রয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ কোনঅ সাজেশন দিতে চান?
তাদেরকে বলব পাঁচ নম্বরের যে কমন প্রশ্নগুলো টেস্ট পেপারে বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসছে, হিমবাহের ক্ষয়কার্য হতে পারে বা এই ধরনের প্রশ্নগুলো, তারা সেই গুলো যেন ভালো করে প্র্যাকটিস করে। সকলেই কমবেশি পড়াশোনার মধ্যেই ছিল, ফলে এই শর্টকোশ্চেন-এর ক্ষেত্রেও তারা যদি শেষ মুহূর্তের টেস্ট পেপারটা ভালো করে সলভ করে, তাহলে কিছু উত্তর অবশ্যই পারবে বলে আমার ধারণা।
আর একটা ম্যাচিং থাকে। চার নম্বর থাকে সেই ম্যাচিংটাতে, ৪-এ ৪ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর সবশেষে অবশ্যই সকল ছাত্রছাত্রী খুব ভালো করে পরীক্ষা দিক, এটাই বলব। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ওদের প্রতি।