শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব ক্রিকেটে এই মুহূর্তে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রমরমা। বিশ্বের এমন কোন ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ নেই যেখানে এই মুহূর্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলা হয় না। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ না খেলা একটা দেশ বর্তমানে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে যত বেশি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের রমরমা, যত বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্নীতির পরিমাণও।
এই রকম অন্যতম জনপ্রিয় এক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আবু ধাবি টি-টেন লিগ। আবুধাবি টি-১০ লিগে দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। পাশাপাশি অভিযুক্ত হয়েছেন বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা। যাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের এক সময়কার তারকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেনও। তাঁর বিরুদ্ধে এবার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি।
জাতীয় দলে না থাকলেও নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে চলেছেন নাসির। ২০২১ সালে তিনি আরব আমির শাহি যান আবু ধাবি টি-টেন লিগে খেলতে। সেই টুর্নামেন্টেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। ঘটনায় নাসির ছাড়াও অভিযুক্ত হয়েছেন ক্রিশান কুমার চৌধুরি। যিনি আবার একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম অংশিদার। এছাড়া অভিযুক্ত হয়েছেন আরেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশিদার পরাগ সাংভি, ব্যাটিং কোচ আসহার জাইদি, আমির শাহির ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সিলিয়া সামান এবং সহকারী কোচ শাদাব আহমেদ।
নাসিরের বিপক্ষে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ২.৪.৩ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাননি নাসির। ২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে দুর্নীতি বা ম্যাচ গড়াপেটার কোন প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাঁকে কোনও ভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসের অধিনায়ক ছিলেন নাসির। গ্রুপ পর্বে ৬ টি ম্যাচের মধ্যে ২টি ম্যাচে সেবার জয় পেয়েছিল পুনে দল। ৮ দলের মধ্যে একেবারে শেষে শেষ করেছিল নাসির হোসেনের দল।