৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। সেখান থেকে তারা ২২৬ রান করে। সৌজন্যে লিয়াম লিভিংস্টোন এবং স্যাম কারান। তার পর ইংল্যান্ডের দেওয়া ২২৭ রান তাড়া করতে নেমে একেবারে ল্যাজেগোবরে হয় নিউজিল্যান্ড। কিউয়িরা ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল। সেখান থেকে ১৪৭ রানে পৌঁছতেই বাকি চার উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্য়ান্ড। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ওডিআই ৭৯ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল ব্রিটিশ বাহিনী।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার ম্যাচে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড দাপটের সঙ্গে ৮ উইকেটে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটিতেও তারা কার্যত ইংল্যান্ডকে কোণঠাঁসা করে ফেলেছিল। কিন্তু রবিবার ব্রিটিশরা দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি ৩৪ ওভারে নামিয়ে আনা হয়েছিল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড বিশাল বড় ধাক্কা খায়। তাদের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটার ছয়ের বেশি রানই করতে পারেননি। ওপেন করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো ৬ (৮ বলে) করে আউট হন। জো রুট ২ বল খেলে শূন্যতে সাজঘরে ফেরেন। বেন স্টোকস ১০ বলে এক করে আউট হন। আর এক ওপেনার হ্যারি ব্রুক ১২ বলে ২ রান করেন।
মাত্র ২৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড যখন কাঁপছে, তখন কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন দলের অধিনায়ক জস বাটলার এবং মইন আলি। কিন্তু ২৫ বলে ৩০ রান করে আউট হন বাটলার। দলের ৫৫ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এর পর লিয়াম লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মইন আলি। ষষ্ঠ উইকেটে তারা যোগ করেন ৪৮ রান। এই পার্টনারশিপের হাত ধরেই ১০০ পার করে ইংল্যান্ড। তবে ৩২ বলে ৩৩ করে আউট হয়ে যান মইন।
এর পর সপ্তম উইকেটে স্যাম কারানকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন লিভিংস্টোন। এই জুটি শতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ইংল্যান্ডকে ২০০ পার করায়। কারান-লিভিংস্টোন মিলে ১১২ রানের জুটি গড়েন। আটে ব্যাট করতে নেমে কারান ৩৫ বলে ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন। আর লিয়াম লিভিংস্টোন ৭৮ বলে ৯৫ করে অপরাজিত থাকেন। ৩৪ ওভারে ইংল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করে। কিউয়িদের হয়ে ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২ উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি।
২২৭ রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুতেই ফিন অ্যালেনের উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। ২ বলে শূন্য করে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেন। এর পর ডেভন কনওয়েও ১৪ করে (২৪ বলে) আউট হন। ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে উইল ইয়ং জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও, তিনি ৩৯ বলে ৩৩ করে রানআউট হয়ে বসেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মিচেলই। ৫২ বলে ৫৭ করেন তিনি। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে গিয়েছেন কিউয়ি অধিনায়ক টম লাথাম। তিনি ২২ বলে ১৯ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই, চার রানের বেশি করতে পারেননি। যার নিটফল, ২৬.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি এবং রিস টপলে। ২ উইকেট নিয়েছেন মইন আলি।