শুভব্রত মুখার্জি:- শেষ এক বছরের কিছু বেশি সময়ে একেবারে বদলে গিয়েছে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল। জো রুট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরবর্তীতে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে আসেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এরপরেই টেস্টে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে শুরু করে ইংল্যান্ড দল। একেবারে ভয়ডরহীনভাবে ক্রিকেটটা খেলা শুরু করে তারা। লাল বলের ক্রিকেটে অর্থাৎ টেস্টেও তারা টি-২০ র মতো ব্যাটিং শুরু করে। টেস্ট ক্রিকেটকে তারা আরও বেশি গতিময় করে তোলে। তাদের এই নয়া ধরনের ক্রিকেট ব্যাজবল নামে পরিচিত হয়। আর এই ব্যাজবল ক্রিকেটের সবথেকে সেরা জয়টা যে ভারতের মাটিতে হায়দরাবাদ টেস্টে পেলেন তা জানিয়েছেন বেন স্টোকস।
ম্যাচ শেষে বেন স্টোকস জানিয়েছেন, ‘আমি অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে অনেক দুর্দান্ত জয় পেয়েছি। তবে এই জয়টা নিঃসন্দেহে বলতে পারি আমাদের অন্যতম সেরা জয়। আমি অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার ভারতে এসেছি। আমি খেলাটার অন্যতম সেরা পর্যবেক্ষকও বলতে পারেন। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি কীভাবে ভারতীয় স্পিনাররা বোলিং করেছে। দেখেছি ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা কীভাবে ফিল্ডিং সেট করেছে। আমি সবার জন্য খুব খুব খুশি। হার্টলে নয়টা উইকেট নিয়েছে। পোপ কাঁধের অপারেশনের পরেও অনবদ্য শতরান করেছে। টম (হার্টলে) প্রথমবার স্কোয়াডে এসেছে। এই জয়, এই পারফরম্যান্স দারুনভাবে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
স্টোকস আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি টমকে বড় বড় স্পেলে বোলিং করাতে চেয়েছিলাম। আমরা যাদেরকে দলে নির্বাচন করেছি তাদেরকে আমরা ব্যাক করেছি। আমরা ভবিষ্যতেও করব। যে পরিস্থিতিতে আমরা ম্যাচে পড়েছিলাম, সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা যেসব শট খেলেছি ম্যাচে তা সত্যি অনবদ্য। ওই উইকেটে ১৯০ রানে পিছিয়ে থেকে খেলাটা মোটেও সহজ ছিল না। পোপ গোটা ফিল্ডকে ম্যানিপুলেট করতে পেরেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে কোন ইংলিশ ব্যাটারের খেলা সেরা ইনিংস নিঃসন্দেহে। আমি ব্যর্থতায় ভয় পাই না। দলে যে বা যারা আছে সবাইকে আমি সাহস দেওয়ার চেষ্টা করি।’ উল্লেখ্য ম্যাচে ২৮ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড দল। প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানের বিরাট ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বেন স্টোকসরা।