জাতীয় দল থেকে ফিরে রঞ্জিতে রাজ্যদলকে বল হাতে নির্ভরতা দেন রবি বিষ্ণোই। তবে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে গুজরাটকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না তাঁর প্রয়াস। দুই যুবরাজ সিংয়ের দাপটে ভালসাদে শক্তিশালী গুজরাটের কাছ থেকে ৬ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে যায় রেলওয়েজ।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রেলওয়েজ। তারা প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান তোলে। দাপুটে শতরান করে আশুতোষ শর্মা। হাফ-সেঞ্চুরি করেন সাহেব যুবরাজ সিং ও মহম্মদ সইফ। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আশুতোষ ১২টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৮৪ বলে ১২৩ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন।
সাহেব যুবরাজ ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৯৩ বলে ৮৩ রান করেন। সইফ ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০২ বলে ৫১ রান করেন। দলের আরও এক যুবরাজ সিং ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ বলে ১৫ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
রবি বিষ্ণোই প্রথম ইনিংসে ১৭ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ৮৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। চিন্তন গাজা ও সিদ্ধার্থ দেশাই ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন আর্জান নাগওয়াসওয়ালা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে গুজরাট প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। উমঙ্গ কুমার ৬৮ ও সিদ্ধার্থ দেশাই ৫২ রান করেন। উমঙ্গ ১০২ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ১৩২ বলের ইনিংসে ৮টি চার মারেন সিদ্ধার্থ। রবি বিষ্ণোই ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ বলে ২২ রান করেন। রেলওয়েজের হয়ে প্রথম ইনিংসে যুবরাজ সিং ৩২ রানে ৫টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট দখল করেন করণ শর্মা।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে রেলওয়েজ। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৮ রান তোলে। বিবেক সিং ৫৩, সূরজ আহুজা ৫৩ ও যুবরাজ সিং ৩৯ রানের যোগদান রাখেন। আশুতোষ করেন ৩১ রান। রবি বিষ্ণোই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫.৫ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ৭৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৭টি উইকেট নেন বিষ্ণোই। দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি উইকেট নেন চিন্তন গাজা।
জয়ের জন্য ৩৪৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে গুজরাট। তারা মাত্র ১৫৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে রেলওয়েজ। মনন হিঙ্গরাজিয়ার ৫২ রান ছাড়া শেষ ইনিংসে ব্যাট হাতে তেমন লড়াই চালাতে পারেননি গুজরাটের আর কোনও ব্যাটার। করণ শর্মা ৪টি ও যুবরাজ সিং ২টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হন আশুতোষ।