অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ। ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন জনসন। প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে বিষ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন যে তাঁকে স্যান্ডপেপার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং তিনি কখনই এর সম্পূর্ণ দায় নেননি, তাই ফর্মের বাইরে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। শেষ টেস্ট ম্যাচে তাঁকে নায়ক করাটা মেনে নিতে পারেননি মিচেল জনসন।
এই বিতর্ক আরও বেড়ে যায় যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খোয়াজা ওয়ার্নারের সমর্থনে বেরিয়ে আসেন এবং তিনি বলেছিলেন যে ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথ উভয়ই তাদের শাস্তি ভোগ করেছেন এবং তাদের উপর এমন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ঠিক নয়। ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে কেন এমন বিবৃতি দিলেন তা এখন ব্যাখ্যা করেছেন জনসন।
কী বললেন মিচেল জনসন?
মিচেল জনসন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘ওয়ার্নার আমাকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যা খুবই ব্যক্তিগত ছিল। পরে তাXকে ফোন করে কথা বলার চেষ্টা করি। আমি সবসময় যা করি তা হল যে কোনও সমস্যা থাকলে তা পরিষ্কার করা উচিত। যখন আমি খেলা বন্ধ করে দিয়েছি, আমি জানি আমি সবসময়ই একজন মানুষ। আমি তাঁকে বলেছিলাম যে আমি যদি মিডিয়ায় থাকি এবং আপনার সম্পর্কে খারাপ কিছু লিখি বা বলি যা আপনি পছন্দ করেন না, তাহলে আপনি এসে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
জনসন আরও বলেছেন, ‘এই বিষয়গুলি কখনই ব্যক্তিগত ছিল না, এখন পর্যন্ত। তাই আমি এই ধরনের নিবন্ধ লিখেছি। তাতে যা কিছু লেখা ছিল তারই অংশ। তাতে যা বলা হয়েছে, তাতে কিছু কথা ছিল যা বলতে পারব না। এখন ওয়ার্নারের ওপর নির্ভর করছে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চান কি না। এতে কিছু বিষয় ছিল যা খুবই হতাশাজনক ছিল। সত্যি বলতে কি, তিনি যা বললেন তা বেশ খারাপ।’
কী লিখেছিলেন জনসন?
জনসন লিখেছেন, ‘কেন ওর (ওয়ার্নারের) বিদায়ী টেস্ট খেলার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেন একজন ওপেনারকে বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যার গড় গত ৩৬ ইনিংসে ২৬.৭৪?’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা এখন ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেউ কী বলতে পারবেন, কেন? কেন ফর্মের সঙ্গে লড়াই করা একজন ওপেনার নিজেই নিজের অবসরের তারিখ ঠিক করে? অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের কেন্দ্রে থাকা একজন খেলোয়াড়কে কেনই বা নায়কোচিত বিদায় দিচ্ছি আমরা?’