শুভব্রত মুখার্জি: পরপর চারটি ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন দল পাকিস্তানকে। চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে এই পারফরম্যান্সের পরে পাকিস্তান দলের সেমিফাইনালে ওঠাতেই পড়ে যায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। এমন আবহেই পাকিস্তান দল মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের। তাদের বিরুদ্ধে ১০৫ বল বাকি থাকতে সাত উইকেট হাতে রেখে বড় জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান দল।
আর এই জয়ের ফলে তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার ক্ষীণ আশা ফের তৈরি হয়েছে। তাদের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বাঁহাতি ওপেনার ফখর জামান। ইডেনে অপর বাঁহাতি ওপেনার ইমাম উল হককে বসিয়ে তার পরিবর্তে খেলানো হয়েছিল ফখরকে। টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে তিনি যথেষ্ট সুবিচার করেছেন। করেছেন দুরন্ত অর্ধশতরান। ম্যাচ শেষে এই ইনিংস নিয়ে বলতে গিয়েই তিনি জানিয়ে দেন, ‘এইরকম একটা ইনিংস খেলতে মুখিয়ে ছিলাম আমি।’
প্রসঙ্গত ইডেনে ব্যাট হাতে বেশ আক্রমণাত্মক দেখিয়েছে ফখরকে। তিনি মাত্র ৭৪ বল খেলে করেছেন ৮১ রান। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, 'এশিয়া কাপের পরে আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে প্রচুর খেটেছি। নেটে দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন করেছি। আমাদের বিশ্বকাপের যে শিবির হয়েছিল তাতেও ব্যাট হাতে আমি ভালো খেলেছি। আমি মুখিয়ে ছিলাম যাতে করে প্রথম একাদশে বিশ্বকাপে সুযোগ পাই। আজকে আমার কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান আমি পেয়েছি। আমাকে যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তার সদ্ব্যবহার করেছি। এইরকম একটা ইনিংস খেলতে আমি মুখিয়ে ছিলাম।'
ফখর আরও জানান, 'আমি আবদুল্লাহকে (শফিক) বলি প্রথম কয়েকটা ওভার আমি দেখেশুনে খেলে সামলে দিচ্ছি। কারণ আমি জানতাম এরপর আমি বড় বড় জয় মারতে মারি। দলে আমার কাজটা হল আমার পার্টনারের জন্য কাজটা যতটা সহজ করে দেওয়া যায়। ফলে আমার কাছে প্রথম কয়েকটা ওভার দেখে খেলে সামলে দেওয়াটা খুব জরুরী ছিল। আর এরপরেই আমি আমার শট খেলতে পেরেছি। আমাদের মাথায় নেট রান রেটের বিষয়টি ও ছিল। ১০০ রানে পৌঁছানোর পরে এই বিষয়টা আমাদের মাথায় আসে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩০ ওভারের মধ্যে ম্যাচটা শেষ করা। আমার বেশ কিছু খারাপ পারফরম্যান্স ছিল। তাই আরও বেশি আমি এমন একটা ইনিংস খেলতে মুখিয়ে ছিলাম।'