এবারের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি যেন প্রতি ম্যাচে রানের পর রান করে যাচ্ছেন, ঠিক তেমনই আরও এক ক্রিকেটার রয়েছেন, যিনি উইকেট নিয়ে চলেছেন। তিনি মহম্মদ শামি। একটা সময় যাকে অনেক সমালোচনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সেই শামি এখন সমর্থকদের ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। প্রতি ম্যাচেই উইকেট নিয়ে চলেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তিনি শুরু করেন। এমনকী শেষটাও করেন এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাত উইকেট নেন শামি। ম্যাচের সেরার পুরস্কারটাও গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে। যদিও একটা সময় পর্যন্ত এই ম্যাচ ভারতের হাতের বাইরেই ছিল বলা যায়। কারণ ওয়াংখেড়ের পিচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন এবং ডারিল মিচেল। এই দুই ব্যাটারের দাপটে একটা সময় ভালো জায়গায় চলে যায় নিউজিল্যান্ড। ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকে ভারতের উপর। অনেকেই ধরে নিয়েছিল ফের স্বপ্নভঙ্গ হতে চলেছে ভারতের। ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালের স্মৃতি ফিরতে চলেছে। কিন্তু তা হতে দেননি মহম্মদ শামি।
একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন তিনি। ৩২.২ ওভারের মাথায় কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দেন ভারতীয় এই পেসার। ঠিক সেই ওভারেই অর্থাৎ ৩৪.৪ ওভারের মাথায় টম লাথামকে এলবিডব্লু করেন তিনি। পরপর দুই উইকেট হারাতেই বেসামাল হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। স্বাভাবিক ভাবেই এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট এটাই। আর সেই মুহূর্তেই ভিডিয়ো এই মুহূর্তে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল বলা চলে। এরপর মিচের দলকে জেতানোর চেষ্টা করলেও, একা তিনি পারেননি। তিনিও মহম্মদ শামির বলে ১১৯ বলে ১৩৪ রান করে ফিরে যান। কিউয়ি ব্যাটারের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে।
এই ম্যাচে যেমন ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান গিল, বিরাট এবং শ্রেয়সরা। ঠিক তেমনই বল হাতে ভারতকে ফাইনালে তোলার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ হাত রয়েছে শামির। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। যদিও তিনি প্রথমের দিকে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারেননি। হার্দিক পান্ডিয়া চোট পেয়ে ছিটকে যেতেই সুযোগ পান এই পেসার। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। প্রতি ম্যাচেই পেয়েছেন উইকেট। পাশাপাশি দলের ভরসার প্লেয়ার হয়ে উঠেছেন তিনি। এদিন অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯.৫ ওভার বল করে ৫৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৭টি উইকেট। ফাইনালে টিম ইন্ডিয়াকে ভরসা দেবেন বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।