এসকে রামাচন্দ্রন, সৌভদ্র চ্যাটার্জি, নিউ দিল্লি
পাঁচ রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচন। আর হিসেব বলছে, বিজেপি ও কংগ্রেস যত মহিলা প্রার্থী দিয়েছে এই ভোটে, শতাংশের হিসাবে তা ১২ শতাংশেরও কম। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সংসদে এবারই পাশ করা হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। আর সেখানে ৩৩.৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। বলা হচ্ছে আগামী জনগণনা ও খসড়া তালিকার পর এটা কার্যকরী হবে। কিন্তু তার আগে একী হাল!
এবার পাঁচ রাজ্যে মহিলা প্রার্থীদের হিসাবটা একটু দেখে নেওয়া যাক। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম এই পাঁচ রাজ্যে ভোট। মোট আসন ৬৭৯টি। তার মধ্য়ে বিজেপি ৬৪৩জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। আর কংগ্রেস ৬৬৬জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তার মধ্য়ে বিজেপির টিকিটে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৮০জন। আর কংগ্রেস ৭৪জন মহিলা প্রার্থীকে এই পাঁচ রাজ্য়ে ভোটে লড়ার সুযোগ দিয়েছে।
এবার রাজ্যভিত্তিক দুই দলের মহিলা প্রার্থীদের সংখ্যাটা জেনে নিন।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আসন সংখ্য়া ২৩০জন। ১৭ নভেম্বর এখানে ভোট। বিজেপি ২৮জন মহিলা প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থীর সংখ্য়া ৩০জন। ২০১৮ সালে এই সংখ্য়াটা ছিল যথাক্রমে ২৪ ও ২৭ জন।
রাজস্থান বিধানসভায় মোট আসন ২০০টি। ২৫ নভেম্বর এখানে ভোট। বিজেপির মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২০ ও কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২৮জন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ২৩ ও ২৭জন।
ছত্তিশগড় দু দফায় ভোট। মোট আসন ৯০টি। বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়ছেন ১৪জন মহিলা প্রার্থী আর কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়ছেন ৩জন মহিলা প্রার্থী।
মিজোরামের মোট আসন ৪০টি। কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২জন আর বিজেপির মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৪জন।
এদিকে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস উভয়ই তাদের কৃতিত্ব দাবি করতে চাইছে। অন্যদিকে কংগ্রেসও তাদের মতো করে এই বিলটিকে প্রথম তোলার ব্যাপারে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বাস্তবে এই ছবি কেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায়, আসলে জেতার সম্ভাবনাটা দেখা হয়েছে। কিন্তু মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যাপারে সবরকম চেষ্টা করছে তাদের সরকার।
আর এক কংগ্রেস নেতার কথায়, আমাদের ওয়ার্কিং কমিটিতেও আমরা মহিলা সংরক্ষণের উপর জোর দিয়েছি। ভোটেও আমরাই সংরক্ষণের উপর জোর দিতে চাই। তবে এই ছবির আরও উন্নতি হবে এটা আশা করছি।