এই প্রথমবার পঞ্চায়েত ভোটে বুথ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন মহিলারা। রাজ্যে একাধিক জেলায় এই ধরনের বুথ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নিবার্চন কমিশন। মোট বুথের তুলনায় সংখ্যায় বেশি না হলেও এই প্রথমবার উদ্যোগ নিল কমিশন।
(পড়তে পারেন। কোনও বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী! পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ সামলাবে রাজ্য পুলিশ)
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে মোট বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার৩৪০টি। এর মধ্যে মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা ১,৫৬৬টি। অর্থাৎ মোট বুথের ২.৫ শতাংশকে মহিলাদের দ্বারা পরিচালনা করা হবে।
সংখ্য হিসাবে সবচেয়ে বেশি মহিলা পরিচালিত বুথ করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। সেখানে এই ধরনের বুথের সংখ্যা ৫৪০টি। পূর্ব বর্ধমানে ২১৬, হুগলিতে ২১০, বীরভূমে ১৯০, নদিয়া ১৫৪, আলিপুরদুয়ারে ১২৬, মালদহে ১২৩ ও উত্তর দিনাজপুরে ৭টি মহিলা পরিচালিত বুথ করছে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু যেখানে মনোনয়ন পর্ব থেকে হিংসা শুরু হয়েছে, সেখানে মহিলা পরিচালিত বুথের নিরাপত্তার ক্ষেত্র কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? কারণ পঞ্চায়েত ভোটের আর এক সপ্তাহ বাকি নেই। এখনও নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে জটিলতা কাটেনি। এখনও পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে পরিমাণ বাহিনী বরাদ্দ করেছে, তাতে প্রতি বুথে একজন করে জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহিলা পরিচালিত বুথগুলির নিরাপত্তার জন্য জেলাপ্রশাসন নির্দেশ দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মহিলা বুথের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও রকম আপস করা যাবে না।
কমিশনের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় মহিলা পরিচালিত বুথ করা যাবে না। বুথে সবরকম ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে মহিলা কর্মীদের কোনও অসুবিধা না হয়।
ইতিমধ্যেই ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে একাধিক সরকারি কর্মী সংগঠন কমিশনের কাছে দরবার করা করেছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। শাসকদলের কর্মী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য অহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্ত সরকারি কর্মীদের নির্ভবানায় ভোটের কাজে যেতে বলেছেন। কোনও সমস্যা হলে সরাসরি সংগঠনকে জানাতে বলেছেন। প্রয়োজনে তাঁরাই ব্যবস্থা নেবেন। নিরাপত্তার শঙ্কা সামলে যাতে মহিলা ভোটকর্মীরা সুষ্ঠ ভাবে ভোট করতে পারেন সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে।