হাতে আর একসপ্তাহও বাকি নেই। আগামী ৮ জুলাই হবে রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনে অশান্তি চায় না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই তারা পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল। কিন্তু দাবি অনুযায়ী মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করেছে, তাতে প্রত্যেক বুথে কমপক্ষে একজন করেও জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়। বাকি বাহিনীর জন্য চিঠি লেখা হয়েছে। রবিবার কিছু আসার কথা। তবে সেটাও দাবি মতো নয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দরবারেও নীরব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলে সূত্রের খবর।
তাহলে বুথের দায়িত্বে কারা থাকবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, সেখানেই পরিস্থিতি দেখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাহিদা মতো না মিললে বুথ পাহারায় জওয়ান রাখা হবে না। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এলাকা টহলদারি, কুইক রেসপন্স টিম এবং আন্তঃরাজ্য সীমানা পাহারার কাজে ব্যবহার করা হবে। আর বুথ সামলাবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। রাজ্য নির্বাচন কমিশন মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। সেখানে প্রথম দফায় ২২ এবং দ্বিতীয় দফায় ৩১৫ কোম্পানি মিলিয়ে মোট ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই পরিস্থিতি দেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনে করছে আর মিলবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই নিজেদের মতো করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। গোটা রাজ্যে এক দফায় ভোট হবে। এখানে মোট ৬১ হাজার ৩৪০টি বুথে গড়ে একজন করেও জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়। তাই বুথ সামলাবে রাজ্য পুলিশ। তবে বুথের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া সার্ভিলেন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, হেভি রেডিও ফ্লাইং ভেহিকেল স্কোয়াড রাখা হবে। যার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে তারাই নজরদারি চালাবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: আজ দিনহাটায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল, এখানে সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার বার্তা কি দেবেন?
ঠিক কী বলছেন কমিশনার? ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করতে। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেটা ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই। এরপরই বৈঠকে বলেছিসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আলোচনা চলছে। বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হল সেটা আমরা জানতে চেয়েছি। ওনারা বলেছেন, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঠিক করবে। আমরা বলেছি, আপনারা বিষয়টি জানালেই আমরাও জানিয়ে দেব।’