মণীশ চন্দ্র পান্ডে
উত্তরপ্রদেশের পুরনির্বাচন। আর সেই ভোটে ৩৫০ জনের বেশি মুসলিম প্রার্থী দিল বিজেপি। বেশিরভাগই পিছিয়ে পড়া শ্রেণির থেকে।আগামী ৪ ও ১১ মে ভোট হবে যোগী রাজ্যে।অনেকেই বলছেন এর আগে এত বেশি সংখ্যক মুসলিম প্রার্থীকে ভোটে লড়ার জন্য ছাড়পত্র দিচ্ছে বিজেপি এটা দেখা যায়নি। এটা ইউপির নয়া MY ফ্যাক্টর।
এই MY লাইন ইদানিং ব্যবহার করছে বিজেপি। একাধিক মুসলিম অধ্য়ুষিত এলাকায় জেতার পরে এই নয়া কৌশল প্রয়োগ করছে বিজেপি। অনেকে বলেন, MY মানে মুসলিম-যাদব যোগসূত্র। সমাজবাদী পার্টি এই ম্যাজিকে উতরে যেত। এবার সেই লাইনে হাঁটছে বিজেপি।
বিজেপি নেত্রী নুসতর জাহান বলেন, MY মানে মোদীজি ও যোগীজি। এই দুই নেতা আমাদের ফ্রি রেশন, গরিবদের সহায়তা, সমস্ত কল্য়াণমূলক স্কিম মুসলিমদের জন্যও। আগে শুধু ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে দেখা হত মুসলিমদের। এখন মানুষ হিসাবে দেখা হয়।
মন্ত্রী আজাদ আনসারি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের টিকিট দিয়ে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে, বিরোধীরা যে অপবাদ দেয় মুসলিমদের প্রার্থী করে না বিজেপি এটা ভুল কথা।
এদিকে সূত্রের খবর, জাঠেদের পাশাপাশি ইউপির ওই সব জায়গায় প্রচুর মুসলিম রয়েছে। সামনেই ২০২৪ এর ভোট। তার আগে স্থানীয় আর্বান বডির ভোটে সংখ্য়ালঘুদের মন জয়ে কৌশলী পদক্ষেপ নিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির পশ্চিম ইউপি মাইনরিটি শাখার নেতা জাভেদ মালিক বলেন, ২০১৭ সালে আমরা ৫০জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিলাম। এবার ৩৫০র বেশি মুসলিম প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। মোদী যোগী সরকার তাদের জন্য় কী ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সেটা তাদের বোঝানো হচ্ছে। আগে আমরা শুধু মানুষকে বলে বোঝাতাম। এবার আমরা তাদের বোঝাচ্ছি সবকা সাথ সবকা বিকাশ। সবথেকে বেশি মুসলিম প্রার্থী দেওয়া হয়েছে আলিগড়। সংখ্যাটা হল ১৮ । কানপুরে দেওয়া হয়েছে ১১জন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup