২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে রয়েছে দেশে পর পর বছরে দুটি বড় নির্বাচন পর্ব। সদ্য ২০২২ সালে চলছে ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এরপর বছর ঘুরলেই ২০২৩ সালে রাজস্থান, তেলাঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্যে রয়েছে ভোটপর্ব। এই পরিস্থিতিতে মরুরাজ্য রাজস্থানের জমি দখলে রাখতে প্রস্তুতি শুরু করেছে কংগ্রেস। এবার নরম হিন্দুত্বের রাস্তা ধরে বিজেপিকে মাত দিতে কোমর কষতে শুরু করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকা রাজস্থান সরকার এবার শুরু করছে ভগবত কথা পাঠ। কংগ্রেস সরকারের এমন উদ্যোগকে নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস নিজের 'মুসলিম পন্থী' ট্যাগ সরিয়ে দিতে এমন উদ্যোগ নিচ্ছে। যদিও কংগ্রেস সরকারের দাবি যে, রাজ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজস্থানে গেহলট সরকারের দেবস্থান দফতর এমন একটি ভগবত পাঠ কথা শুরু করছে। জয়পুরের এক মন্দিরে ১ মার্চ শিবরাত্রির দিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই ভগবত কথা পাঠ। এই ভগবত কথা পাঠের কলস যাত্রাতেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে রাজস্থানের দেবস্থান মন্ত্রীর। দেবস্থান মন্ত্রকের মন্ত্রী শকুন্তলা রাওয়াত জানিয়েছেন, রাজ্যের সমৃদ্ধিকে নিয়ে আসার জন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এমন ধরনের উদ্যোগ চলতে থাকা প্রয়োজন। এর আগে রাজ্য বাজেট পেশের সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট বলেন, রাজ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি বজায় রাখতে সমাজের সর্বস্তরে ঐক্য ধরে রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
'এটা শুধু শুরু। এরপর সুন্দর কাণ্ড, রামকথা পাঠ, বিভিন্ন মন্দিরে শুরু করা হবে', বলে মন্তব্য করেছেন রাজস্থানের দেবস্থান মন্ত্রেকের মন্ত্রী শকুন্তলা রাওয়াত। উল্লেখ্য, এই মন্ত্রক এই নিয়ে প্রথমবার এমন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, কোনও মতেই উদ্যোগটি রাজনৈতিক নয়। শুধু রাজ্যের ঐক্য ও শান্তি,সমৃদ্ধি ধরে রাখতেই এমন পদক্ষেপ সরকারের। যদিও বিজেপির দাবি, কেবলমাত্র তোষণের রাজনীতিতে ভর করেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে রাজস্থান কংগ্রেস। যাতে নিজেদের দোষ ও ব্যর্থতা ঢাকা যায়,তার জন্যই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিজেপির তরফে বিধায়ক বাসুদেব দেবনানি বলেন, 'ওরা এখন ভারসাম্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে, তবে ওদের আত্মা হিন্দুদের সঙ্গে নেই। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার মন্দির ভ্রমণের পর সম্ভবত এটা আরও একটি নাটক'। বিজেপির দাবি , যে পার্টি রাম ও রামসেতুর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না ,তারা যদি ভগবত কথা পাঠের কথা বলে, তাহলে তা রাজনৈতিক উদ্দেশেই বলছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে রয়েছে হাইভোল্টেজ রাজস্থান নির্বাচন। যার পরের বছরেই ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। ফলে লোকসভার পিচ প্রস্তুতিতে এই নির্বাচন যে বহু পার্টির ভাগ্য গড়ে দেবে, তা বলাই বাহুল্য।