লোকসভা ভোট দোরগোড়ায়। তুমুল প্রচার চলছে গোটা দেশ জুড়ে। এদিকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্য়ানার টাঙানো হয়েছে জনগণের গর্জন, বিরোধীদের বিসর্জন। আর ভোটের আগে সেই থিমকেই সামনে রেখে গান আনল তৃণমূল। সুরে তালে, নাচে গানে একেবারে দারুণ আকর্ষণীয় সেই ভিডিয়ো।
গত বিধানসভা ভোটের আগে গোটা বাংলা জুড়ে উঠেছিল খেলা হবে স্লোগান। সভা সমিতিতে তো বটেই, বিয়েবাড়িতেও বাজত খেলা হবে গান। তবে এবার একটু অন্যরকম গান এনেছে তৃণমূল। সুরে তালে ছন্দে বেশ অন্য়রকম। গানের কথাও দাগ কাটছে অনেকের মনে।
মনে করা হচ্ছে তৃণমূলের সভা সমিতিতেও এই ধরনের গান এবার বাজানো হবে। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে সেই থিম সং। লেখা হয়েছে আনন্দের সঙ্গে জানানো হচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে আমাদের প্রচার গান আনা হয়েছে। বাংলা বিরোধী বিজেপির জমিদারির বিরুদ্ধে আমাদের এই গান। যারা নানাভাবে বাংলার বাসিন্দাদের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। বলা হয়েছে এই গান বাজান। জনগণের গর্জন…
'তৃণমূলের হাতে থাকুক নতুন দিনের আলো…'গানের কথা মন ছুঁয়ে যাচ্ছে অনেকের।
‘সে বিরোধী হতে পারে দিল্লিতে থাকে। বাংলা তার সোনার ফসল দেবে না তাকে। জমিদার জানো ছাড়তে হবে গদি…’এখানে শুভেন্দু আর সুকান্ত মজুমদারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
গানের কথায় বলা হয়েছে, ‘দাম পায় না কৃষক শ্রমিক, সুরক্ষা নেই নারীর, যুব সম্প্রদায়ের কাছে তোমরা অত্যাচারী, মিথ্যে প্রতিশ্রুতির লোভে ভুলছি না কেউ হেথায়, মানুষ যাকে ভালোবাসে মানুষ তাকে জেতায়…’
কিন্তু জনতার একটাই প্রশ্ন এই গানে যুব সম্প্রদায়ের কথা আছে। এই গানে আছে নারীদের কথা। এই গানে আছে কৃষক, শ্রমিকদের কথাও। কিন্তু সেই গানে কি চাকরি দুর্নীতির কথা আছে? সেই গানে কি আছে একের পর এক নেতা, মন্ত্রীদের জেলে যাওয়ার কথা। সেই গানে কি আছে দিনের পর দিন ধরে রাস্তার ধারে চাকরিপ্রার্থীদের বসে থাকার কথা!
এদিকে বিগত দিনে এই ধরনের গান শোনা যেত বামেদের অনুষ্ঠানে। সেই সময় গণসংগীত বাজত পাড়ায় পাড়ায়। বোঝা যেত বামেদের সভা হচ্ছে। এবার অনেকটাই তেমন কায়দাতেই গান বেঁধেছে তৃণমূল। কিন্তু সেই গানের মাধ্যমে বিরোধীদের বিসর্জন দেওয়ার কথা বলা হলেও বেকার যুবক যুবতীদের বঞ্চনার কথা বলা হয়নি।