বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে বেনিয়মের তদন্তে ইডির সমন এড়িয়ে বৃহস্পতিবার নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। আর তার মাঝেই তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন উত্থাপন করায় বহিষ্কৃত এই সাংসদ। বললেন, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে লবডঙ্কা পেয়েছে সিবিআই। ইডির তলবকে যে তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মহুয়া।
এদিন মহুয়া মৈত্র বলেন, সিবিআই আমার বাড়িতে তল্লাশি করে ৫টা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে গেল। তাতে লেখা, কোনও তথ্য – প্রমাণ বা নথি পাওয়া যায়নি। কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। আমার বাড়িতে কিচ্ছু পায়নি। তল্লাশি করে লবডঙ্কা পেয়েছে। এটা বেশ হাস্যকর। মানুষ তো সব দেখছে’।
আরও পড়ুন: প্রচারে ব্যস্ত, ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না মহুয়া মৈত্র
মহুয়া আরও বলেন, ‘আমি খোলামেলা জীবন যাপন করি। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার মুখ বন্ধ করতে পারে, কিন্তু মানুষের মুখ বন্ধ করা যায় না।’
ইডির তলব নিয়ে মহুয়া উপেক্ষার স্বরে বলেন, ‘ইডি ইডির কাজ করছে। আমি আমার কাজ করছি।’
মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘গুরুতর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মহুয়া মৈত্র। এরকম একজন দুবৃত্তকে তৃণমূল জেনে বুঝে ভোটে দাঁড় করিয়েছে।’
তাঁর প্রশ্ন, ‘ইডি তদন্তের নামে সংবাদমাধ্যমকে তথ্য ফাঁস করছে বলে আমি দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ করেছিলাম। ইডি সেখানে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল তারা কোনও তথ্য ফাঁস করছে না। তাহলে আমাকে তলবের তথ্য সংবাদমাধ্যমের হাতে এল কী করে?’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল
বলে রাখি, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মহুয়া মৈত্রকে বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠায় ইডি। কিন্তু ইডির সমনে সাড়া না দিয়ে প্রচারে বেরিয়ে যান মহুয়া। তৃণমূলের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাধা দিতে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। পালটা বিজেপির দাবি, লোকপালের নির্দেশে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। মহুয়া যা করেছেন তাতে আজ হোক বা কাল, তিনি জেলে যাবেনই।