ভোট না দিলে কর্মচারীদের একদিনের ছুটি কেটে নেওয়া হবে। নির্দেশ জারি করেছিলেন তামিলনাড়ুর স্বরাষ্ট্র সচিব পি অমুধা। তবে শুক্রবার তিনি এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলেন।
তবে গোটা বিষয়টি কানে যায় নির্বাচন কমিশনের। এরপরই স্বরাষ্ট্রসচিব সেই আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু আগের সেই নির্দেশে ঠিক কী ছিল?
বৃহস্পতিবার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, সমস্ত সেকেন্ড লেভেল অফিসারদের বলা হচ্ছে যে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যেন ঠিকঠাক করে ভোট দেন প্রত্য়েকে। যদি তারা এটা না দেন, তবে তাদের ওপি-১ সেকশনে রিপোর্ট করতে হবে।যদি ভোট না দেন তবে তাদের সিএল বা ইএল কেটে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল সেই নির্দেশে।
তবে তামিলনাড়ুর সচিবালয়ের অ্য়াসোসিয়েশন এই নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করে। এরপর তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানায় যে এই ধরনের নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চিঠিতে তারা জানায় যে এই ধরনের নির্দেশ নির্বাচন বিধির বিরোধী। এটা মানা যায় না। এটা সংবিধানের বিরোধী বলেও উল্লেখ করা হয়। ভারতের সংবিধান প্রতি নাগরিকের জন্য় যে স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করেছে এটা তার বিরোধী। এমনটাই জানিয়েছিল সংগঠন।
তবে এবার কর্মচারীদের সংগঠনের আপত্তির পরেই সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এদিকে সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, এই সরকারি নির্দেশের জারে খুব চাপে পড়ে গিয়েছিলেন কর্মচারীরা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে সরকারি কর্মীদের মধ্য়ে।