এনডিএর সহযোগী শক্তিগুলি যেমন জনসেনা, টিডিপি ও বিজেপি এখনও শঙ্কিত যে তিরুপতিতে কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট হবে। কারণ সেখানে প্রায় ৪০,০০০ ভুয়ো ভোটারের সন্ধান মিলেছে। ভোটার তালিকায় সেই নামগুলি থেকে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তার জেরে সমস্যা হতে পারে।
সূত্রের খবর, ২০২১ সালের তিরুপতিতে বিধানসভার উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় প্রায় ৩৫০০০ ভোটার আইকার্ডের ছবি অবৈধভাবে ডাউনলোড করা হয়েছিল। রিটার্নিং অফিসারের লগ ইন আইডি হ্যাক করে এসব করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে বিজেপি এনিয়ে নালিশ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে। এরপর একাধিক আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়।
এদিকে আধিকারিকদের বরখাস্ত করার পরেই তদন্ত থমকে যায়। কিন্তু কেন এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না সেটা জানা যায়নি।
এদিকে এনডিএর সহযোগী শক্তি যারা এই ধরনের ভুয়ো ভোটের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে তারা দেখেছে যে ভোটার তালিকায় মাত্র ২৪৯৫৮৭টি নাম যথাযথ। তবে তার বাইরে ১৬৩৮৯টি ভোট একেবারে ভুয়ো। ২৩৫৪০টি ডবল এন্ট্রি ভোট। এক্ষেত্রে একই নামে দুবার করে এন্ট্রি করা রয়েছে ভোটার তালিকায়।
তিরুপতি বিধানসভার জনসেবার প্রার্থী অরনি শ্রীনিবাসালু জানিয়েছেন, বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে একই ভোটারের দুটি কার্ড রয়েছে। কিন্তু তাদের এপিক নম্বরটি আবার আলাদা। ভোটার একজনই কিন্তু তাদের দুটি এলাকায় নাম তোলা রয়েছে। তবে তাদের নামের বানানে, বাবার নামের বানানে, বাসস্থানে অল্প অদল বদল করে অন্য় জায়গা থেকে নাম তোলা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি জনসেনার নেতৃত্ব কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই ভুয়ো ভোটারদের যাতে বাদ দেওয়া হয় তার ব্যবস্থা করার আবেদন তারা জানিয়েছিলেন।
পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে যাতে এই সব নাম বাদ দেওয়া হয় সেজন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু এদিকে দলীয় নেতৃত্ব চিন্তাভাবনা করছে যাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও এনিয়ে দেখা করা যায়। কারণ এই সমস্যাটা কিছুতেই দূর করা যাচ্ছে না। সেকারণেই এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে দল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে তিরুপতি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে জানুয়ারি পর্যন্ত যে তথ্য রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে তালিকা বিরোধী দলের কাছে আছে। ২৫ এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।