মাও অধ্যুষিত বস্তার। সেখানে ভোট পড়ল প্রায় ৬৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে ভোটার সংখ্য়া ছিল ১৪,৭২,২০৭জন ভোটার। তার মধ্য়ে বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬৪ শতাংশ। এই সংখ্য়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে এবার বস্তারে ভোটের নিরাপত্তায় ব্যপক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। অন্তত ৬০,০০০ বাহিনী ছিল। তার মধ্য়ে অর্ধেকই হল কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী।
এবার হিসেবটা দেখলে দেখা যাবে, বস্তারে সব মিলিয়ে ভোটার ১৪.৭২,২০৭ জন। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৭,৭১,৬৭৯জন। পুরুষ ভোটার ৭,০০,৪৭৬জন। ৫২জন রূপান্তরকামী ভোটার ছিলেন। এদিকে ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে প্রথমবার বস্তারে মাও উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছিল। এরপর থেকে অন্তত তিনটি লোকসভা ভোট হয়েছিল।
তবে এবারের ভোটে যেন কার্যত কোমর বেঁধে নেমেছিল বাহিনী। এবার ভোট ঘোষণার পর থেকে অন্তত ৬২জন মাওবাদীকে নিকেশ করে বাহিনী। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রীনা বাবাসাহেব কাঙ্গালে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ১৯৬১টি পোলিং বুথ রয়েছে। তার মধ্য়ে ৬১টি বুথকে সংবেদনশীল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৫৬টি পোলিং পার্টিকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নামানো হয়েছিল।
শুক্রবার ভোট শুরু হয়েছিল সকাল ৭টায়। চড়া রোদ। সেই রোদ উপেক্ষা করেই একে একে ভোটের লাইনে ভিড় জমতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বেলা ১১টা। দেখা গেল দুপুর ২টো নাগাদ সেই ভোটের শতাংশ বেড়়ে দাঁড়ায় ৪৩ শতাংশ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে একথা।
তবে এদিন অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা যায় যে বয়স্ক ব্যক্তিরা হুইল চেয়ারে গিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছেন। এমনকী নববিবাহিত দম্পতিও ভোট দিতে যান।
এদিকে সুকমা ছিল মাও অধ্যুষিত। সেখানে মোটামুটি বেলা ৩টের মধ্য়ে ভোট প্রক্রিয়া মিটে যায়। এদিন ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করার পরে ভোটকর্মীরা যখন ফিরে আসেন তখন সুকমার এসপি কিরণ চবন মালা ও ফুল দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান।
এদিকে এবারের বস্তারের ভোট কেমন হবে তা নিয়ে গোটা দেশের নজর ছিল। তবে মোটের উপর শান্তিতে ভোট মিটেছে বস্তারে। সেটাই স্বস্তির। এদিকে কোচবিহারের দিনহাটাতে এদিন বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে। তবে মোটের উপর বস্তারে ভোট ছিল শান্তির। গোটা এলাকা ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখার জন্য় তৈরি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে স্বস্তি একটাই যে এদিন সেভাবে কোনও অশান্তি হয়নি।