হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বার নির্বাচনী ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁর কঠিন প্রতিপক্ষ ‘দিদি নং ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা একসঙ্গে অভিনয় করলেও আজ তাঁরা যুযুধান। এক ইঞ্চি জায়গা কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। আর এটাই ভরপুর উপভোগ করছেন আমজনতা। কিন্তু এই জনতা–জনার্দন কাকে চিহ্নিত করবেন? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে এবার বড় আশ্বাস দিয়ে বসলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আসলে ভোট ঘোরাতে এটাই কৌশল বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
এদিকে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো চলাচল শুরু করেছে। তাতে মানুষজন অনেকটাই উপকৃত। ভাড়া একটু বেশি হলেও দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে হাওড়া পর্যন্ত। এই বিষয়কে প্রচারে নিয়ে এসে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়। হাওড়ার পরে এবার হুগলিতে মেট্রো নিয়ে আসার জন্য রেল মন্ত্রকে জানাবেন তিনি বলে আশ্বাস দিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রচারে বেরিয়ে কখনও রান্না করছেন, কখনও খাবার পরিবেশন করছেন লকেট। আসলে ভোট বড় বালাই। এবার লোকাল ট্রেনে চড়েও প্রচার করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাজারে গিয়ে সবজিও কিনলেন। মেট্রো হুগলিতে নিয়ে আসার আশ্বাস দিয়ে ইদের সকালে এভাবেই জনসংযোগ সারলেন বিজেপি নেত্রী।
আরও পড়ুন: রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার করল এনআইএ, গা–ঢাকা কাঁথিতে
অন্যদিকে ইদের দিন সকালে কর্মীদের সঙ্গে প্রচার করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে প্রচারের পর স্টেশনে যান। তারপরই একটি লোকাল ট্রেনে উঠে পড়েন। প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘মোদী সরকার রেলের অনেক উন্নয়ন করেছেন। হুগলি পর্যন্ত মেট্রো হলে ভালই হয়। আমি রেল মন্ত্রকে এই প্রস্তাব জানাব।’ ব্যান্ডেল বাজারেও জনসংযোগ সারেন লকেট। বাজার করেন উচ্ছে, লঙ্কা, টোম্যাটো আরও অনেক কিছু। সেখান থেকে হেঁটে ব্যান্ডেল স্টেশনে গিয়ে ডাউন বর্ধমান লোকালে ওঠেন লকেট। কথা বলেন যাত্রীদের সঙ্গে। মানুষের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। হাত মেলান।
তবে পরের স্টেশন হুগলিতে নেমে যান এবং চা পান করেন। সেখানেই জড়ো হওয়া মানুষ এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে লকেট বলেন, ‘মোদীজি হলেন সঙ্কল্প থেকে সিদ্ধি। সঙ্কল্প করতে হবে যে, হাওড়া পর্যন্ত আসতে পারলে কেন মেট্রো হুগলি পর্যন্ত আসবে না? গঙ্গার নীচে দিয়ে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত ঐতিহাসিক মেট্রো চালু হয়ে গিয়েছে। হাওড়া থেকে হুগলির দূরত্ব বেশি নয়। আমি চাই হুগলির মানুষও মেট্রো পরিষেবা পাক।’ মানকুন্ডু পর্যন্ত লোকাল ট্রেনে প্রচার সারেন লকেট। ২০ মে নির্বাচন রয়েছে হুগলিতে। হুগলি কেন্দ্রে লড়াই এবার কঠিন।