যত গর্জায় তত বর্ষায় না। ডায়মন্ডহারবারে দল বললে প্রার্থী হব বলে জানিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দল অনুমতি দিল না। নওশাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ডহারবার থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না। ডায়মন্ডহারবারে আইএসএফের প্রার্থী হচ্ছন মজনু লস্কর। তিনি পেশায় আইনজীবী।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নওশাদ প্রার্থী না হওয়ার জেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ আরও প্রশস্ত হল। এদিকে আইএসএফ কাকে প্রার্থী করছে সেদিকে তাকিয়ে ছিল বিজেপিও। তারাও কার্যত হতাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নওশাদ বলেন, স্বৈরাচারী বিজেপিকে হারাতে, তৃণমূলকে পরাজিত করতে ওরা চাইছেন না। কার্যত বাম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়া নিয়ে একথা বললেন নওশাদ। সেই সঙ্গেই তৃণমূল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিএএ কীভাবে বাংলায় হবে, বিজেপির রমরমা কীভাবে হবে তার চেষ্টা ওরা চালিয়ে যাচ্ছে।। তৃণমূলের কাছে কোনও অ্যাজেন্ডা নেই।
আর আইএসএফ কী বলছে?
ভয় পাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। নওশাদ সিদ্দিকি ভয় পান না। তিনি স্টার ক্যামপেনার। তাঁকে একটা কেন্দ্রতে আমরা আটকে রাখতে চাইনি। সেকারণেই তাঁকে ডায়মন্ডহারবার কেন কোনও কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করা হয়নি। দাবি আইএসএফ নেতৃত্বের।
এদিকে এর আগে অবশ্য় ডায়মন্ডহারবার আসন থেকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে লম্বা চওড়া ভাষণ দিতেন নওশাদ। এমনকী তিনি দাঁড়ালে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থরথর করে কাঁপবে বলে জানিয়েছিলেন নওশাদ। এমনকী দল একবার অনুমতি দিলেই তিনি ডায়মন্ডে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলেও হুঙ্কার দিতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা গেল সেখানে ডায়মন্ডহারবার কেন কোনও কেন্দ্রের জন্যই নাম নেই নওশাদের। তবে তার ব্যাখাও দিয়েছে আইএসএফ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন নওশাদকে প্রার্থী করা হল না? নেপথ্যের গল্পটা ঠিক কী? তবে কি সেটিং হয়ে গেল তলায় তলায়? নাকি পরাজিত হলে মান সম্মান সব যাবে সেই আশঙ্কায় আর এগোতে চাইলেন না নওশাদ?
নওশাদ বলেন, কার সুবিধা হবে, কার অসুবিধা হবে এনিয়ে ভাবলাম এতদিন। এতকটা দিন অপেক্ষা করলাম ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী বিজেপি আর তৃণমূলকে হারাতে চেয়েছি আমরা। কিন্তু জানি না কোন দলের মধ্য়ে আরএসএস বসে আছে। আমরা আপোস করতে করতে ৭ এ এসে পৌঁছে গেলাম। তারপরেও আমরা গ্রিন সিগন্যাল পেলাম না সেই দলের কাছ থেকে যার সবসময় বলে তারা নাকি বিজেপি আর সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে।