মঙ্গলবার বালুরঘাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল। কিন্তু সেখানে একটা অদ্ভূত বদল দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায় মোদীর জন্য বিরাট কোনও মালা রাখা নেই। এমনকী মোদী যেখানে বসেছিলেন সেখানে জলের বোতল বা গ্লাসও ছিল না। এমনকী মোদীর জন্য খাবার দাবারের ব্যবস্থাও ছিল না বলে খবর। কিন্তু কেন?
এমনকী রায়গঞ্জের সভাতেও সেই একই ছবি দেখা যায়। সেখানেও দেখা যায় মোদীকে সেভাবে বড় মালা পরানো হয়নি। জলের বোতলও সেভাবে ছিল না। কারণটা কী?
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নবরাত্রির উপবাস করেছিলেন। সেকারণে দেশের যে কোনও জায়গায় প্রচারে গেলেই তিনি কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করছিলেন। তিনি কোনও উত্তরীয় পরছেন না। কারও প্রণামও তিনি নিচ্ছেন না। ফুল মালা উপহার থেকেও তিনি দূরত্ব রাখছিলেন। পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া থেকেও দূরে। সেকারণেই রায়গঞ্জ বা বালুরঘাট তাঁর সভা মঞ্চকে ঘিরে অতিরিক্ত কোনও আয়োজন দেখা যায়নি।
এদিকে বালুরঘাটের সাংসদ খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানকার সভায় স্বাভাবিকভাবেই বিরাট আয়োজন করা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। এমনকী সেখানকার সভায় মোদীকে বিরাট বিরাট উপহার দেওয়া হবে বলেও মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেসব হয়নি। সেখানে দেখা গিয়েছিল তেমনভাবে কোনও উপহার মোদীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী ফুল মালারও বিরাট কোনও আয়োজন নেই। আসলে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে নির্দেশ আসার পরেই জেলাস্তরে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নবরাত্রির মধ্য়ে মঙ্গলবার প্রথম বাংলায় আসেন মোদী। সেদিন উপবাস ছিল। সেকারণে উপবাসচলাকালীন তিনি কিছু নিয়ম পালন করছেন। সভা করতে এসে সেই নিয়মের যাতে কোনও পরিবর্তন না হয় সেকারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। অত্যন্ত যৎসামান্য আয়োজন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর জন্য।
এদিকে বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর কোনও সভা মানেই সেখানে দেখা যায় বিরাট মালা। বিরাট উপহারের আয়োজন। উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় মোদীকে। কোন নেতা কতটা আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পারবেন তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। যেমনটা কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সভায় দেখা গিয়েছিল। কিন্তু রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারে ভিন্ন।
তবে এবারই প্রথম নয়, উপবাস পালনের ক্ষেত্রে মোদী অত্যন্ত কঠোর নিয়ম পালন করে থাকেন বলেই জানা যায়। অতীতেও তার একাধিক নজির রয়েছে।