লোকসভা নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার বিহারে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আরজেডি। তাতে এবার দলের জাতীয় সভাপতি লালু প্রসাদের দুই মেয়েকে প্রার্থী করা হয়েছে। এর মধ্যে লালু কন্যা রোহিণী আচার্যকে প্রার্থী করা হয়েছে সারণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবং মিসা ভারতীকে পাটুলিপুত্র থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় নাম রয়েছে মধ্য বিহারের বাহুবলী নেতা বিজয় কুমার শুক্লের।
আরও পড়ুন: 'কিডনির বিনিময়ে মেয়েকে লোকসভা ভোটের টিকিট দিয়েছেন লালু', বিস্ফোরক BJP
মিসা ভারতী অনেক আগেই রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেও এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন রোহিণী। দেড় বছর আগে তিনিই কিডনি দান করে পিতা লালু প্রসাদকে বাঁচিয়েছিলেন। তিনি সারণ কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। এই কেন্দ্রটি এক সময় লালু প্রসাদের দুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৭৭ সালে প্রথমবার এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন লালু প্রসাদ। এরপর ১৯৮৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালেও এই আসন থেকে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। যদিও প্রথমদিকে এই আসনটি চাপড়া নামে পরিচিত ছিল। পরে ২০০৮ সালে এর নাম পরিবর্তন করে সারণ করা হয়। রোহিণী অবশ্যই প্রথমবারের মতো নির্বাচনী ময়দানে নামলেও তিনি ইতিমধ্যেই রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত।
এদিকে, সারণ কেন্দ্রে রোহিণীর বিরুদ্ধে লড়বেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডি। তিনি ২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালে এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। এর পরে ২০১৯ সালে লালু যাদবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চন্দ্রিকা রাইকেও পরাজিত করেন। সেই রাজীবের বিরুদ্ধে লড়বেন লালু কন্যা।
লালু যাদবের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন রোহিণীর কাঁধে। তবে রোহিণী এতে কতটা সফল তা নির্বাচনের ফলাফলের পরেই জানা যাবে। উল্লেখ্য, প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকেই রোহিণী সারণ কেন্দ্রে প্রচার করেছেন।
উল্লেখ্য, সারণ লোকসভা কেন্দ্রে ৬টি বিধানসভা আসন রয়েছে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ৪টি আসনে জিতেছিল এবং দুটি আসন বিজেপির কাছে গিয়েছিল। যে চারটি আসনে আরজেডি জিতেছিল তার মধ্যে রয়েছে মারহাউরা, গারখা, পারসা এবং সোনপুর আসন।
অন্যদিকে, লালুর আরেক মেয়ে মিসা ভারতীকে এবারও তাঁর পুরনো কেন্দ্র পাটলিপুত্রে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের ভোটে পাটলিপুত্র থেকেই ভোটে লড়েছিলেন মিসা। কিন্তু, দু’বারই লালুর একদা আস্থাভাজন প্রাক্তন আরজেডি নেতা তথা বিজেপির রামকৃপাল যাদবের কাছে হেরে যান তিনি। প্রসঙ্গত, আসন সমঝোতা অনুযায়ী, রাজ্যের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আরজেডি লড়বে ২৬ টিতে, কংগ্রেস ৯, সিপিআইএমএল (লিবারেশন) ৩, সিপিএম ১ এবং সিপিআই ১ আসনে লড়বে।