দলবদলের নানা নজির রয়েছে ভারতে। তবে ভোটপর্বের মধ্য়ে একই ব্যক্তির বার বার দলবদলকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই নানা চর্চা চলছে। ভূপালের ছিন্দওয়াড়ার স্থানীয় মেয়র বিক্রম আহাকের এই ডিগবাজির কাহিনি সকলের চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছিন্দওয়াড়ার মেয়র বিক্রম আহাকে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস নেতার বিজেপিতে যোগদান নিয়ে নানা চর্চা চলছিল শহর জুড়ে। এদিকে ভোটের দিন দেখা গেল তিনি একেবারে ডিগবাজি খেয়েছেন। সেদিন দেখা গেল তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী নকুল নাথকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
তিনি সোশ্য়াল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন, একটা রাজনৈতিক দলে আমি যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। সেখানে গিয়ে মনে হচ্ছিল ছিন্দওয়াড়ার মঙ্গল করেছেন যে ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে গিয়ে কাজকর্ম করাটা একেবারে ঠিক হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, নকুল নাথ বরাবর এলাকার উন্নয়নের জন্য় কাজ করে গিয়েছেন। শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে, চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে তিনি নানা কাজ করছেন।
তিনি ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আমি রাজনীতি করার অনেক সুযোগ পাব। আমি জানি না আমার কী হবে। কিন্তু আজ যদি আমি কমল নাথ ও নকুল নাথের পাশে না দাঁড়াই তবে সেটা ভুল হবে , তাঁরা আমাদের জন্য় অনেক কাজ করেছেন, আমি ভোটারদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি নকুল নাথকে আপনারা ভোট দিন। তাঁকে বিপুল মার্জিনে জেতান। সেই আবেদনই করছি আমরা।
নকুল নাথের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বিবেক বান্টির নাম ঘোষণা করেছে। বিজেপি এলাকায় দাপটের সঙ্গে প্রচার করছে। একাধিক নেতারা এখানে প্রচারে এসেছেন। কিন্তু আচমকাই এলাকার মেয়র যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি আচমকা এভাবে কংগ্রেসের পক্ষে মতামত দেওয়ার ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
গত ১ এপ্রিল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মধ্য়প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রীর উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি বিষ্ণুদত্ত শর্মা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে এই আসনে পরাজিত হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু একেবারে ভোটপর্বের মধ্য়ে বিজেপিতে যোগদানকারী মেয়রের এরকম ডিগবাজির ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পরেও এভাবে কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।