দুপুর বারোটায় প্রাপ্ত ট্রেন্ড অনুযায়ী, ৪০৮৬ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর আরো লিড বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ১১৮১৫ ভোটে জয়ী হয়েছে শাসক দল।
এই তফসিলি জাতি কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন অভেদানন্দ থাণ্ডের। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়িয়েছেন কলিতা মাঝি। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়িয়েছেন সিপিআইএমের চঞ্চল মাঝি।
২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমান জেলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়।পূর্ব বর্ধমান মূলত কৃষি প্রধান জেলা। একে পশ্চিম বঙ্গের শস্যভাণ্ডার বলা হয়। জেলার বৃহত্তম শহর বর্ধমান। ধান এই জেলার প্রধান ফসল। এছাড়া পাট, আলু, পেঁয়াজ, আখ হয়।আউসগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।এই তফসিলি কেন্দ্রটি গুসকরা পুরসভা, আউসগ্রাম-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, আউসগ্রাম-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত। এই বিধানসভা কেন্দ্র বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভেদানন্দ থাণ্ডের জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০ হাজার ৪৫০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী বাসুদেব মেটে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ১৯৮৷ অভেদানন্দ থাণ্ডের তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সিপিএম প্রার্থী বাসুদেব মেটেকে ৬ হাজার ২৫২ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের বাসুদেব মেটে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কংগ্রেসের চঞ্চলকুমার মণ্ডলকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬, ২০০১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের কার্তিকচন্দ্র বাগ আউসগ্রাম (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল কংগ্রেসের ছায়া চৌধুরী, তৃণমূল কংগ্রেসের সুকুমার মণ্ডল ও কংগ্রেসের সুকুমার সাহাকে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৯১, ১৯৮৭, ১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের শ্রীধর মালিক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি যথাক্রমে কংগ্রেসের ছায়া রানী চৌধুরী, কংগ্রেসের বিশ্বম্বর মণ্ডল, কংগ্রেসের চঞ্চলকুমার মণ্ডল ও জনতা পার্টির মদন লোহারকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭১—৭২ সালে সিপিআইএমের শ্রীধর মালিক এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে সিপিআইএমের কৃষ্ণচন্দ্র হালদার এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের কানাইলাল দাস আউসগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন।