রাজ্যসভার সদস্যপদ ও তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও একটি উইকেট পড়ল শাসকদলের। দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দেওয়ার পর চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধেছেন দলকে। এই পরিস্থিতিতে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন দলের মুখপাত্র বিবেক গুপ্তা। তিনি বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাঁর কি অসুবিধা হচ্ছিল, কোথায় সমস্যা হচ্ছিল তা নিয়ে একটিবারের জন্যও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেননি।’
যদিও দীনেশের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে কাজ করা যাচ্ছিল না। দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। তাই নিজের অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে এই পদত্যাগ করলাম। তবে তিনি যেভাবে পদত্যাগ করলেন তা এককথায় বিরল। কারণ দলের কেউ কিছু জানতেই পারলেন না, অথচ ইস্তফা দিয়ে দিলেন। তাও আবার বাংলার নির্বাচনের আগে।
তাঁর অভিযোগ, বাংলায় হিংসা হওয়া সত্ত্বেও তিনি কিছু করতে পারছেন না৷ তাই তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে৷ তিনি আরও জানান, দলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ যে এখানে আমায় পাঠিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। আর গুজরাট থেকে ফের রাজ্যসভায় আসবেন তিনি। কারণ আজই গুজরাট থেকে রাজ্যসভার দুটি আসনে নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে তাঁর নাম শোনা যাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে।
উল্লেখ্য, আটের দশকে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তবে বেশিদিন তিনি কংগ্রেসে থাকেননি। চলে যান জনতা দলে। সেখান থেকে ছেড়ে আসেন তৃণমূলে। নয়ের দশকের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। নয়াদিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ হয়েছিলেন তিনিই। কদিন আগেই নরেন্দ্র মোদীর একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তারপরই জল্পনা উস্কে উঠেছিল।