এবার গো–রাজনীতি নিয়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হল তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে। আর তা মুহূর্তে চরমে পৌঁছে গেল। কারণ বিজেপি কর্মীর বাগানে ঢুকে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর গরু। আর তা নিয়ে শুরু হল তুমুল বচসা। এমনকী সেই বচসা রাতারাতি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গেল। নিমেষেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাঁকুড়ার মেজিয়া গ্রাম। থানার সামনে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন দুই দলের কর্মী–সমর্থকরা। বেগতিক দেখে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু গৃহপালিত পশুটি এসবের কিছুই বুঝল না।
ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রে খবর, গফুরের মহেশ কিছু না বুঝেই ঢুকে পড়েছিল মাণিক ঘোষের বাগানে। আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেজিয়া গ্রাম। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তা থানা পর্যন্ত গড়ায়। এই ঘটনা এতদূর যে গড়াতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। সোমবার বাঁকুড়ার মেজিয়ায় বাগানে গরু ঢোকাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। তারাপুর গ্রামের বিজেপি কর্মীর সবজি ক্ষেতে ঢুকে পড়েছিল নিষ্পাপ গরুটি। ঘটনাক্রমে সেটি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর গৃহপালিত পশু। কিন্তু এখন বিধানসভা নির্বাচনের মুহূর্তে তেতে আছে যুযুধান প্রতিপক্ষ। আর তা আছড়ে পড়ল মেজিয়ার পথঘাটে। গরু নিয়ে বিজেপি নেতা–কর্মীদের ভক্তি থাকলেও এই অনাধিকার প্রবেশ তুমুল অশান্তির সৃ্ষ্টি করল। অভিযোগ, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পরস্পরকে মারধর পর্যন্ত করে। প্রশ্ন উঠে যায়, গরু কী রাজনীতি বোঝে?
এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি কর্মী দলবল নিয়ে হাজির হন মেজিয়া থানায়। বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। তাই থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। তখন সেখানে উপস্থিত হন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, দু’পক্ষের মধ্যে তখন তুমুল মারামারি হয়। এমনকী পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। বনমালী গোপ নামের এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর।