কিরণ রাও সম্প্রতি তার পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা 'লাপাতা লেডিস' দিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছেন। সব নতুন মুখেদের দিয়ে অভিনয় করানোয় প্রশংসিত হয়েছেন এই পরিচালক। একটি নতুন সাক্ষাত্কারে, কিরণকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, গত ১০ বছরে ছেলে আজাদকে বড় করার নিয়ে কখনও অনুশোচনা করেছেন কি না। সন্তান ধারণের জন্য সারোগেসি বেছে নেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি।
মাতৃত্বের কঠিন যাত্রা
জুমের সঙ্গে কথা বলার সময় কিরণ জানান যে, তিনি একাধিক গর্ভপাতের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। জানান, তিনি সত্যিই মা হতে চেয়েছিলেন। ‘যে বছর ধোবি ঘাট তৈরি হয়েছিল, সে বছরই আজাদের জন্ম। আমি অনেক চেষ্টা করেছি সন্তান নিতে। পাঁচ বছরে আমার একাধিক গর্ভপাত হয়েছিল। বেশ কিছু ব্যক্তিগত এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল আমার। আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার শরীরের জন্য বাচ্চা ধারণ করা খুবই কঠিন। তখন আমি সত্যিই একটি সন্তান নিতে আগ্রহী ছিলাম। তাই যখন আজাদের জন্ম হয়েছিল, তখন তা ছিল আমার কাছে বিশেষ মুহূর্ত ... আমাকে আলাদা করে আর কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয়নি। স্পষ্টতই, সেই সময় আমি যা করতে চেয়েছিলাম, তা হল আমার বাচ্চাকে বড় করা’, জানান কিরণ।
আমির খান এবং কিরণ ২০১১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে আজাদকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁরা ডিভোর্স নিলেও ছেলের অভিভাবকত্ব পালন করছেন যৌথভাবেই।
ছেলের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কিরণ আরও জানান, ‘আজাদকে পেয়ে আমার খুব ভালো লেগেছিল। সেই বছরগুলো (আজাদের বেড়ে ওঠা) ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। ১০ বছরে কোনও ছবি করতে না পারার জন্য, আমি কখনই দুঃখ করব না। আমার কোনও দুঃখ নেই কারণ আমি এটি সেই সময়টাকে পুরোপুরি উপভোগ করেছি’।
কিরণ একটি সাক্ষাত্কারে সারোগেসির পথে যাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। ‘এটি একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার- কেন একজন স্বাভাবিকভাবে সন্তান নিতে পারছে না বা সন্তানের জন্য অন্য কারও গর্ভ ভাড়া করছে।সাধারণত লোকেরা কথা বলতে চায় না এগুলো নিয়ে। তবে আমরা জানতাম যে, তারকা হওয়ার কারণে আমাদের যেভাবেই হোক লোক এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তকে তাই কখনোই লুকিয়ে রাখতে চাই নি। তাই আমরা এটি সম্পর্কে খোলামেলা হতে চেয়েছি। যদি আমাদের অভিজ্ঞতা মানুষের জানার জন্য দরকারী হয়, কারও উপকারে আসে, তবে আরও ভালো’, বলেছিলেন আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী।
লাপাতা লেডিস সবেমাত্র বক্স অফিসে ৫০ দিন পূর্ণ করেছে। মোটের উপর খুব খারাপ আয় করেনি ছবিটি। টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও (টিআইএফএফ) প্রদর্শিত হয়েছিল।
নির্মল প্রদেশ নামে একটি কাল্পনিক রাজ্যের পটভূমিতে রচিত লাপাতা লেডিস নববধূ ফুল এবং পুষ্পার গল্প বলে, যারা ট্রেন যাত্রার সময় দুর্ঘটনাক্রমে অদলবদল হয়ে যায়। ছবিটি প্রযোজনা করেছে জিও স্টুডিওজ এবং প্রযোজনা করেছে আমির খান প্রোডাকশনস এবং কিরণ রাওয়ের কিন্ডলিং প্রোডাকশনস।