যত কাণ্ড এখন জামনগরে! শাহরুখ খানের পর এবার মুকেশ আম্বানির ছেলের প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছে চরম ট্রোলের মুখে ‘থালাইভা’ রজনীকান্ত। রামচরণকে ‘ইডলি’ ডেকে নেটপাড়ার রোষের মুখে কিং খান। অন্যদিকে নিজের বাড়ির কাজের মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় রজনীকান্তকে ঘিরে ছিছিকার সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পর্দায় সবসময়ই ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ চরিত্র ফুটিয়ে তোলেন রজনীকান্ত। গোটা দেশের নয়নের মণি তিনি। কিন্তু আম্বানির ছেলের প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। স্ত্রী লতা রজনীকান্ত, মেয়ে ঐশ্বর্য রজনীকান্তকে নিয়ে দক্ষিণী সুপারস্টার পৌঁছেছিলেন জামনগরে। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের হাউজ হেলপ বা কাজের মেয়েও। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গেল, পাপারাৎজিদের দেখে হাসিমুখে হাত নাড়েন অভিনেতা। এরপর স্ত্রী-কন্যাকে ডেকে নেন পোজ দেওয়ার জন্য। না বুঝেই ফ্রেমে ঢুকে পড়েছিল কাজের মেয়েটি। তাঁকে সেখান থেকে দূরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন রজনীকান্ত।
অভিনেতা যে ভাবে হাতের ইশারায় তাঁকে সরতে বলেন, তা দৃষ্টিকটূ ঠেকেছে নেটিজেনদের কাছে। একজন লেখেন, ‘বড় অভিনেতা বা বড়লোক মানেই বড় মনের মানুষ হবেন, এমনটা নয়। আশাহত হলাম’। আরেকজন লেখেন, ‘উনি না বুঝেই ফ্রেমে চলে এসেছিলেন। আরেকটু ভালোভাবেও ওঁনাকে সরতে বলতে পারতেন’। রজনীকান্তের এই ব্যবহারকে অনেকেই ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘নীচু মনের পরিচয়’ বলে বাখ্যা করেন। এই ঘটনায় এখনও মুখ খোলেননি রজনীকান্ত। তবে তাঁর ফ্যানেরা পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ফ্যানেদের যুক্তি ‘থালাইভা’ শুধু ফ্যামিলি ছবি চেয়েছিলেন, কেউ নিশ্চয় ‘ফ্যামিলি পিক’-এ বন্ধু বা প্রতিবেশিকে জায়গা দেয় না। দয়া করে এটা নিয়ে অযথা বিতর্ক বাড়াবেন না। ফ্যানেরা যাই বলুক না কেন, সোশ্যালে ট্রেন্ডিং এই ভিডিয়ো, ভিউ সংখ্যা ছাড়িয়ে এক মিলিয়ান।
রজনীকান্তকে শেষ দেখা গিয়েছিল মেয়ে ঐশ্বর্য রজনীকান্ত পরিচালিত ছবি ‘লাল সেলাম’-এ। এই ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন থালাইভা। আগামিতে তাঁক দেখা যাবে লাইকা প্রোডাকশনের আসন্ন ছবি ‘ভেত্তাইয়াঁ’তে। এই ছবিতে ৩৩ বছর একসঙ্গ দেখা যাবে অমিতাভ-রজনীকান্তকে। ছবি পরিচালনায় টিজে জ্ঞানভেল।
‘হাম’ ছবিতেই শেষবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দুই মেগাস্টারকে। দীর্ঘ তিন দশকে একসঙ্গে কাজ না করলেও তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। রজনীকান্তের কাজের প্রশংসায় হামেশাই পঞ্চমুখ অমিতাভ। এমনকি রোবট ছবির সাংবাদিক বৈঠকেও সামিল হয়েছিলেন বিগ বি। এই ছবিতে রজনীকান্তের নায়িকা ছিলেন বচ্চন-বধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ‘অন্ধা কানুন’ (১৯৮৩), ‘গ্রেফতার’ (১৯৮৫) এবং ‘হাম' (১৯৯১) ছবিতে এর আগে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজনে।