ইতিহাস ছুঁয়ে দেখলেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য। চেনা শহরের বাইরে গিয়ে সাক্ষী হলেন জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্তের।
কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি— দুই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ অম্বরীশের। গোলাপী শহর জয়পুরে লেন্সবন্দি তিন তারকা। সেই ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা। আপ্লুত হয়ে লিখেছেন, ১৯৮৩ আর ২০১১-র মাঝে আমি! এমন মুহূর্ত বোধহয় জীবনে একবারই আসে...'।
কী ভাবে এই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন অম্বরীশ?
অভিনেতা জানান, একটি নামী টিএমটি বার প্রস্তুতকারক বিপণির বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সেই একই বিপণীর সর্বভারতীয় মুখ কপিল এবং ধোনি। জয়পুরের ক্লায়েন্টস মিটে তিন জনের দেখা। দুই প্রিয় খেলোয়াড়কে চাক্ষুষ করে আপ্লুত অম্বরীশ।
তিনি বলেন, 'দু'জনের সঙ্গেই কথা বলেছি। তবে ধোনির সঙ্গে বেশি আড্ডা হল। ওঁর ঘরে ডেকেছিলেন আমাকে। সেখানে আমরা প্রচুর কথা বললাম। রাজস্থানের নানা জায়গায় আমার ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ওঁকে বলছিলাম। তখন উনি দুঃখ করছিলেন। বলছিলেন, ইচ্ছা থাকলেও মবড হওয়ার ভয়ে ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে যাওয়ার উপায় নেই তাঁর।'(আরও পড়ুন: এখনও শট ‘নট গুড’ হওয়ার ভয় কাজ করে বিগ বি-এর মধ্যে! অকপট অম্বরীশ ভট্টাচার্য)
রাজস্থানের বিখ্যাত একটি দোকান থেকে ধোনি এবং তাঁর পরিবারের জন্য মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন অম্বরীশ। বাঙালি অভিনেতার আন্তরিকতায় আল্পুত ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ছোট পর্দার 'পটকা' বললেন, 'উনি খুবই খুশি হয়েছেন। আমাকে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথাও বলেছেন।'(আরও পড়ুন: পটকা এ বার চিকিৎসক! 'খড়কুটো'র পর আরও এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে আসছেন অম্বরীশ)
ধোনির সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডার পর কপিলের সঙ্গে ক্ষণিকের বার্তালাপ। আর তাতেই নস্টালজিক অম্বরীশ। তাঁর মনে পড়ে গিয়েছে ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জিতে নেওয়ার কথা। তখন অভিনেতার বয়স মাত্র চার। তবু পাড়ার মোড়ের রংমশালের সেই আলো তাঁর মনে আজও অমলিন। সে কথা কপিলকেও জানিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গেই জানান, ইডেনে তাঁকে দেখতে গিয়ে কী ভাবে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। অম্বরীশ বলেন, 'যে দিন খেলা দেখতে গিয়েছিলাম, উনি সে দিন বাউন্ডারির দিকেই আসেননি। খুব কান্নাকাটি করেছিলাম। সেই কথা ওঁকে বলতেই উনি হেসে উঠলেন। এমন ভদ্র, অমায়িক মানুষ খুব কম দেখা যায়।'