বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > অলিম্পিক্সে বাজল ইজরায়েলের জাতীয় সংগীত,লাইভ টিভিতে ধরা পড়ল অনু মালিকের ‘চুরি’

চলতি টোকিও অলিম্পিক্সে ইতিহাস তৈরি করেছেন ইজরায়েলের জিমন্যাস্ট ওর্টেম ডোলগোপ্যাট। এবারের টোকিও অলিম্পিক্সে জিমন্যাস্টিক্স বিভাগে সোনা জিতেছেন তিনি। পদক নিতে মঞ্চে উঠতেই নিয়মমাফিক বেজে উঠেছিল বিজয়ীর দেশের জাতীয় সংগীতের সুর। আর এরপরেই বলি-সুরকার অনু মালিককেও সোনার পদক দেওয়ার আবেদন উঠল নেটদুনিয়ায়!

মোটের ওপর ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক মন্দ নয়। তবে তাই বলে এতটাও ভালো নয় যে অলিম্পিক্সে পদক পেল সে দেশ আর পাশাপাশি এ দেশের এক ছবির সুরকারকে সোনার পদক দেওয়ার আবেদন উঠবে। তবে বাস্তবে ঠিক তাইই হয়েছে। অনেকেই এই খবর শুনে চমকে গেছেন। আসুন, জানা যাক ব্যাপারটা। আসলে, অলিম্পিক্সের মঞ্চে ইজরায়েলের জাতীয় সংগীতের সুর বেজে উঠতেই হিন্দি ছবির দর্শকদের ভুরু বেশ অনেকটাই কুঁচকে উঠেছিল। কেমন যেন চেনা চেনা সুর। একটু ঘাঁটতেই বেরিয়ে পড়ল ১৯৯৬ সালে অজয় দেবগন অভিনীত ছবি 'দিলজ্বলে'-এর 'মেলা মুল্ক মেরা দেশ' এর সুরের সঙ্গে ইজরায়েলের জাতীয় সংগীত 'হাতিকভা'-র সুরের সঙ্গে অবিকল মিল। বোঝা গেল, ''হাতিকভা'-র সুর স্রেফ টুকে ওই গানে বসিয়ে দিয়েছিলেন অনু। এতদিন পর ঝুলি থেকে বেরোল বিড়াল!

এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করে ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের কটাক্ষ এবং তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন অনু। কেউ এই বলি-সুরকারকে এমন করে সুর চুরি করার জন্য 'নির্লজ্জ' বলছেন তো কেউ আবার ব্যাঙ করে সরাসরি কমেন্ট করছেন,' এক দেশের জাতীয় সংগীত চুরি করে অন্য দেশের সিনেমার জাতীয়তাবাদী গানে সেই সুর ব্যবহার করেছেন অনু। এই দুর্দান্ত চুরির জন্য তাঁকেই সোনার পদক দেওয়া উচিত!'

প্রসঙ্গত এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বহুবার সুর চুরির অভিযোগ উঠেছে অনু মালিকের বিরুদ্ধে। 'দিল মেরা চুরায়া কিঁউ','নিঁদ চুরায়ি মেরি কিসনে ও সনম','কহো না কহো' এর মতো বলিউডের দুর্দান্ত সব হিট গান এই তালিকায় রয়েছে। অনুর অবশ্য যুক্তি সেসব তিনি মোটেও টোকেননি। মূল বিদেশী গানের সুর থেকে 'প্রেরণা' নিয়েছেন।

বন্ধ করুন