টলিউডের রুপোলি রঙ ধীরে ধীরে নয় সবুজ, নয় তো গেরুয়া হয়ে যাচ্ছে। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কার্যথ ‘মুড়ি-মুড়কি’র মতো তারকারা নাম লেখাচ্ছেন রাজনতিক দলে। কেউ যাচ্ছেন ঘাসফুলে, আবার অনেকেই পরিবর্তনের ডাক দিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন।
দেব-মিমি-নুসরতের মতো হেভিওয়েট টলি তারকারা তৃণমূলের সাংসদ। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া শুরু থেকেই টলিউডের এ-লিস্টার তারকারা মমতার কাছের মানুষ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। তবে সব হিসেব-নিকেশ উলটে নিজেকে ‘দিদির ভাই’ বলে পরিচয় দেওয়া যশ দাশগুপ্ত, বরাবর মমতার সান্নিধ্য পাওয়া শ্রাবন্তী সকলেই এখন নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। যদিও প্রকাশ্যে মমতার বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি কেউই। শুধু মোদীজির আদর্শে চলার শপথ নিয়েছেন। তবে শুধু যে গেরুয়া শিবিরেই সকলে যোগ দিচ্ছে তা নয়, রাজ চক্রবর্তী,সায়নী ঘোষ থেকে সৌরভ দাস- এঁরা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তাই বিধানসভা নির্বাচনে টলিউড মুখেদের উপর ভরসা রাখছে দুই শিবিরই। এবার প্রশ্ন হল আর কে বা কোন তারকা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় বাকি রইল?
শ্রাবন্তীর বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট লেখেন অঙ্কুশ। সেই পোস্টে কার্যত টলিউডের বন্ধুদের খোঁচা দিলেন তারকা। অঙ্কুশ টুইটারের দেওয়ালে লেখেন, ‘আমিও ভেবেছিলাম কোন Pwari-তে যোগ দিই? বুঝলাম আমার দ্বারা হাউজ Pwari ছাড়া আর কিছু হবে না, তাও সেটা যদি অন্য কেউ স্পনসর করে’।
রাজনৈতিক দলে এখনও পর্যন্ত যোগ না দিলেও তৃণমূলের হয়ে একাধিকবার ভোট প্রচার করতে দেখা গিয়েছে অঙ্কুশকে। তবে এখনই রাজনীতিতে নামতে না-রাজ অঙ্কুশ। দিন কয়েক আগেই এক লাইভ অনুষ্ঠানে অভিনেতা জানান, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোনও রাজনৈতিক পদের প্রয়োজন নেই তাঁর। এমনিই ভাল আছেন। কোনও বাধা নেই, কারও কথায় চলতে হচ্ছে না তাঁদের, কী বলতে হবে কেউ শিখিয়ে-পড়িয়ে দিচ্ছেন না। এমনকি তিনি আরও জানান, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব আসে এবং আগও বহুবার এসেছে তবে আপাতত রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই নেই তাঁর ও ঐন্দ্রিলার।
কিন্তু পার্টি থুড়ি পাওরিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে খোঁচাটা কাকে বা কাদের দিলেন অঙ্কুশ?