একদিকে শাকিব-অপু, আরেকদিকে শাকিব-বুবলী। বাংলাদেশে এই ত্রয়ীর সম্পর্ক ঘিরে কিছু কম জলঘোলা হয়না। একটা সময় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিবের সম্পর্কের তিক্ততার কথা ছিল সকলেরই জানা। তবে পরিস্থিতি বদলেছে। শাকিবের দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলীও তাঁদের ছেলে শেহজাদ খান বীরের কথা প্রকাশ্যে আনেন। আর তখনই বুবলীর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ে শাকিবের। পাল্লা ঝুঁকে যায় অপুর দিকে।
আবার এই শাকিবই যখন ধর্ষণের মামলায় ফেঁসেছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রথমা অপু। আর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রতি শাকিবের দুর্বলতা বাড়ে। তিক্ততা বাড়ে বুবলীর সঙ্গে। আবার কখনও পাল্লা ঝুঁকেছে বুবলীর দিকে। এই শাকিবই আবার বুবলী ও তাঁর ছেলে শাহজাদের জন্মদিন পালন করেছেন, ছেলেকে ভর্তি করতে স্কুলেও গিয়েছেন। আবার কখনও অপুকেও তাঁদের ছেলে জয়কে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে।
যদিও বলাই বহুল্য শাকিবের দুই স্ত্রী অপু-বুবলীর সম্পর্ক কিন্তু মোটেও মধুর নয়। দুই সতীনের সম্পর্কে শুধুই তিক্ততা। তবে শাকিবের সঙ্গে দুই স্ত্রী ও ছেলের দিব্যি যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কানাঘুষো আবার শোনা যাচ্ছিল শাকিব ফের প্রথমা স্ত্রী অপুকেই আবার বিয়ে করেছেন। যদিও একথা শাকিব বা অপু, কেউই প্রকাশ্যে জানাননি।
এদিকে সম্প্রতি ইদে ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাড়িতে গিয়েছিলেন অপু। আবার ওইদিনই ছেলে বীরের সঙ্গে প্রাক্তন স্বামীর বাড়ি থেকে ছবি পোস্ট করেন বুবলী। ব্যাস, অমনি শুরু হয় অশান্তি। খবর রটে, শাকিব-বুবলী একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। আর তাতেই এবার মুখ খুললেন অপু।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেন, শাকিবের বাড়িতেই অপু আর তাঁর ছেলে জয়ের সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। বুবলীর দাবি, তিনি শাকিব আর বীরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। আর তখনই ছেলে জয়কে নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন অপু। বুবলীর এই মন্তব্যে নতুন জল্পনা তৈরি হয়। এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এখবর দেখে বেজায় চটে যান শাকিব ও অপু। মুখ খোলেন অপু বিশ্বাস।
ঠিক কী বলেছেন শাকিবের প্রথমা অপু?
অপু বলেন, ‘বুবলীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় রমজানের প্রথম দিন। আমি সেদিন আগে থেকেই জয়কে নিয়ে শাকিবের বাড়িতেই ছিলাম। সেদিন বুবলী শাকিবের অফিসে এসেছিলেন, বাড়িতে নয়।’ অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের অফিসে ঢুকে দেখি টিভিতে কার্টুন দেখছে শাহজাদ (বুবলীর ছেলে) দেখছে। আর একটা চেয়ারে তিনি (বুবলী) বসে আছেন। শাকিব ঘুমোচ্ছেন। সেখানে শাকিবের দুই সহকারীও ছিলেন। এরপরও বুবলী কেন যে এটাকে কোয়ালিটি টাইম বলছেন জানি না। এটা বলে শুধু উনি নিজ ছোট হচ্ছেন না, অন্যকেও ছোট করছেন।’
রেগে গিয়ে অপু আরও বলেন, ‘ছেলে শাহজাদের উপস্থিতিতে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর কোনও যৌক্তিকতাও আমি দেখি না। এসবই মিথ্যে। তিনি (বুবলী) কীভাবে বলতে পারেন ছেলে শাহজাদ তাঁদের স্পেস (শাকিব-বুবলী) দেয়! কী অদ্ভুত! ছোট বাচ্চা, সে কীভাবে বুঝতে পারে বাবা-মা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে? আমি শুধুই এটুকু বলব, আল্লা যেন ওকে হেদায়েত (সুমতি) দান করেন। খুবই দুঃখিত যে এই সময় এসব কথা বলতে হচ্ছে।! ’