নিত্য়দিনই এখন আলোচনায় থাকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাদাগিরি’। আলোচনায় উঠে আসে প্রতিযোগীদের নানান কীর্তি। এবার সৌরভের দরবারে হাজির হয়েছিলেন প্ৰখ্যাত চিত্রকর,ভাস্কর প্রবাল চন্দ্র বড়াল। নজর কাড়ে তাঁর আজব পোশাক, কালো টি-শার্টের উপর তিনি চাপিয়ে নিয়েছিলেন নিওন গ্রিন রঙের জ্যাকেট, সঙ্গে পরেছিলেন ধোতি প্যান্ট। গলায় আকন্দ ফুলের মালা। আর সেই শিল্পীর এমন সাজ দেখে তাঁর সঙ্গে মশকরা করতে দেখা গেল 'দাদা'কে। কারণটা প্রবাল বাবুর অদ্ভুত হেয়ারস্টাইল। প্রবাল চন্দ্র বড়ালের সারা মাথা ন্যাড়া, মাঝে শুধু রয়েছে একগুচ্ছ চুল।
সৌরভ তাঁকে প্রশ্ন করেন, এই হেয়ারস্টাইলটা মেইনটেইন করেন কীভাবে? একবার লাফিয়ে নিয়ে শিল্পী উত্তর দেন, 'এটা অনেকেই প্রশ্ন করেন, আমার বাড়ির লোকও এটা খুবই অপছন্দ করে, কারণ ও গৃহবধূ তো! তবে আমি একপ্রকার জোর করেই এই স্টাইলটা করি, এটা আমার সিগনেচার।'এমন উত্তরে হেসে ফেলেন সৌরভ। এরপর দাদা জিগ্গেস করেন,'সঙ্গে কেউ আছেন?' স্ত্রীর দিকে আঙুল দেখিয়ে প্রবালবাবু বলেন, 'ওই যে আমার মিসেস, আর পুত্রবধূ'। সৌরভ খেয়াল করে প্রবালবাবুর স্ত্রী লীনা বড়াল নেহাতই ছাপোষা, মার্জিত চেহারার একজন গৃহবধূ। এটা দেখে দাদা বলেন, 'এই মিসেসের ওই হাজব্যান্ড!'এরপর প্রবাল বাবু মজা করে বলেন, 'হা হতোস্মি'(অর্থাৎ নিরাশ হয়ে বলা আমি মারা গেলাম)।
সৌরভ এরপর প্রবাল বাবুর স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘ওঁর হেয়ারস্টাইলটা পছন্দ?’ লীনা বড়াল তখন পাল্টা সৌরভকে বলেন, ‘আমার পছন্দ নয়, আপনার কি পছন্দ?’ এমন কথায় নাক সিঁটকে বলেন, ‘আপনাকে দেখার পর তো আরও পছন্দ নয়!’ এদিকে সৌরভের এই মন্তব্যের পর নেটপাড়ায় অনেকেই মজা করে লিখেছেন, ‘আরে দাদা কি ফ্লার্ট করছেন নাকি?’
আরও পড়ুন-'আমি একটু ধরে থাকিনা তোমার হাতটা, মনে হচ্ছে আমার…' সৌরভকে ছুঁয়ে আবেগঘন 'একলা' ইন্দ্রাণী
আরও পড়ুন-প্রতিযোগীর অনুরোধ, বাঙাল ভাষায় এটা কী বললেন 'দাদা' সৌরভ! হেসে লুটোপুটি সকলে…
এখানেই শেষ নয় দাদাগিরি-১০-এর মঞ্চে এসে প্রবাল চন্দ্র বড়াল আরও নানান কাণ্ড করেছেন। সৌরভ তাঁকে প্রশ্ন করেন,' আপনি তিন আঙুলে ভর করে পুশ আপ দিতে পারেন তো?' এমন প্রশ্নে সাবলীলভাবে সম্মতি প্রকাশ করেন প্রবালবাবু। শুধু সম্মতি প্রকাশ করাই নয়, সত্যিই সেটা করতে তৈরি হয়ে যান। জ্যাকেট খুলে প্রবাল বাবু পুশ আপ দিতে যাবেন, ওমনি সৌরভ বলেন, 'জ্য়াকেটটা থাক, জ্যাকেট ছাড়া মানাচ্ছে না...'। ওমনি ওকে বলে ময়দানে নেমে পড়েন শিল্পী। অবলীলায় তিন আঙুলে পুশআপ দিয়ে দেখিয়ে দেন।
৬৭ বছর বয়সে প্রবাল বাবুর ফিটনেস দেখে তখন অবাক দাদা। প্রবাল বাবু, পুশ আপ দিয়ে উঠে বলেন, 'আমি সকলকে বলি এটা করতে'। এটা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই মজা করে সৌরভ বলেন, ‘না বাকিদের বলবেন না, ওরা আগে বাড়িতে প্র্যাকটিস করুক।’
এদিকে প্রবাল চন্দ্র বড়ালের এই প্রমো দেখে নেটপাড়ায় কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কেউ মজাকরে লিখেছেন, ‘আমি যদি বাড়িতে এভাবে চুল কেটে ঢুকি, কী হবে, সেটাই ভাবছি… (হাসির ইমোজি)’ কেউ আবার খেয়াল করেছেন, তিন আঙুল নয়, প্রবাল বাবু আসলে ৫ আঙুলে ভর করে পুশ আপ দিয়েছেন। তাই লিখেছেন, ‘এটা তো ৫ আঙুলে হয়ে গেল!’ কারোর মন্তব্য, ‘আরে ৩ আঙুলে পুশ আপ করার কথা ছিল তো।’ এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।