শুরুতেই তাঁরা বলেছেন ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’। কিন্তু টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন প্রেমিকার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে ‘বরবাদ’ নায়কের। টলিগঞ্জের অন্যতম মিষ্টি জুটি বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানি মুখোপাধ্যায়। নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে বরাবরই খোলামেলা দুজনে। প্রেমের কথা কোনওদিন গোপন রাখেননি। প্রকাশ্যেই পরস্পরকে বলেছেন, ‘ভালোবাসি তোমায়’। টলিউডে বিচ্ছেদের যে হিড়িক চলছে, সেই তালিকায় নাকি এবার জুড়ে যাচ্ছে বনি-কৌশানির নামও এমনই কানাঘুষোশোনা রটেছে।
রটনা, প্রায় এক সপ্তাহ কথা বন্ধ বনি-কৌশানির। এই জল্পনাকি সত্যি? এই সম্পর্কে এক সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন কৌশানি নিজেই। নায়িকার সাফ কথা, ব্রেক-আপ হলে সে কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেবেন তিনি। তবে আপতত বিষয়টা তেমন নয়। কিন্তু দুজনের মধ্যেকার মনোমালিন্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ‘হইচই আনলিমিটেড’ নায়িকা। কৌশানি বলেন, ‘সব সম্পর্কেই মতবিরোধ হয়। আমার মনে হয়েছে, এই সময়টা একা থাকা দরকার। আমি নিজে কী চাই, সেটা বোঝা দরকার। তারপর যে সিদ্ধান্তই নিই, তা পজিটিভ-নেগেটিভ যাই হোক না কেন, সেটা আমি পরিষ্কারভাবে জানাব।’
দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্ক টিকে থাকবে কিনা, সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন কৌশানি! যা যথেষ্ট চিন্তার এই জুটির ভক্তদের জন্য। কিন্তু আচমকা হলটা কী?
গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কৌশানি। জোড়াফুলের হয়ে লড়েওছিলেন কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভা থেকে। তবে মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতার কাছে হার স্বীকার করেন এই টলি নায়িকা। ভোটের আগে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন বনি। পরে অবশ্য দল ছাড়েন। তবে বনি বিজেপি-তে থাকাকালীনও জুটির ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অটুট। ভোটে হারের পর কৌশানির হাতটা আরও শক্ত করে ধরেছিলেন বনি। কিন্তু এখন হলটা কী?
এই প্রসঙ্গে এইসময়কে বনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের ব্রেক-আপ হয়নি। এটা ঠিক, কাজ নিয়ে চাপে ছিলাম আমরা। তাই নিজেদের সময় দিতে পারছিলাম না'। প্রেমিকার অভিমানের কারণ অজানা নয় বনির। নিজের দোষও স্বীকার করছেন তিনি। বনি নিশ্চিত, 'সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ঝগড়া না হলে আর সম্পর্ক কীসের?'
দ্রুত বনি-কৌশানির মান-অভিমানের পর্ব মিটে যাক, এমনটাই প্রার্থনা ভক্তদের।