মুম্বইয়ের বস্তি থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড এক্সট্রিম স্পোর্টস জগতে একজন মানুষের যাত্রার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে অ্যাকশন সিনেমা ‘ক্র্যাক’। ছবিতে প্রধান চরিত্রের অভিনয় করেছেন, বলিউডের অ্যাকশন অভিনেতা বিদ্যুৎ জামওয়াল। ছবির পরিচালনায় আদিত্য দত্ত। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অর্জুন রামপাল এবং নোরা ফাতেহিকে।
আসন্ন সিনেমা ‘ক্র্যাক’-এর ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে যান অভিনেতা অর্জুন রামপাল এবং নোরা ফাতেহি। শ্যুটিংয়ে সময় যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা, সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন। অভিনেতা অর্জুন রামপাল ক্যামেরার সামনে নানা ধরনের স্টান্ট করার জন্য খ্যাত। অভিনেতা জানিয়েছেন, একটি দৃশ্যের শ্যুটিং করার সময় তাঁর একটু চোট এসেছে। সেই কারণে শ্যুটিং থেকে সপ্তাহ খানেক ব্রেক নিয়ে বিশ্রাম নিতে হয়েছিল তাঁকে। আরও পড়ুন: একা থাকা কতটা উপভোগ করেন? ‘সিঙ্গেল' হওয়া নিয়ে কী জানিয়েছেন সলমন, টাবু, অক্ষয়রা
সহ অভিনেতা বিদ্যুৎ জামওয়ালের ফিটনেস দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন অর্জুন। যদিও নিজেও খুব ফিট অভিনেতা রামপাল। আরও পড়ুন: কোট-প্যান্টে বিয়ে বাড়িতে অরুণ দা, রাগের চোটে পুরো ধুয়ে দিলেন ‘নন্দিনী দির ভাইকে’
‘ক্র্যাক’-এর শ্যুটিংয়ে চোট পেয়েছেন নোরাও। বডি ডবল নিয়ে শ্যুটিং করতে চাননি নোরা। সেটে নিজেই স্টান্ট পারফর্ম করতে চেয়েছিলেন। শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, জামওয়ালের সঙ্গে শ্যুটিংয়ের সময় চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। একটি দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় অজান্তেই পড়ে গিয়েছিলেন। এরপরই একটু ভয় পেয়ে যান তিনি। পরে ভ্যানিটি ভ্যানে গিয়ে একা একা বসে কেঁদেছিলেনও সে কথা স্বীকার করেছেন।
এই ছবিতে একটি গানে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকেও। 'টেক্কা' ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে মুম্বই উড়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। গণেশ আচার্য-র কোরিওগ্রাফিতে প্রথম বার কাজ করেছেন। অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘সনকের পর থেকেই বিদ্যুতের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। একেবারে পরিবারের মতই হয়ে গিয়েছি আমরা। তাই ও অনুরোধ করায় তা ফেলতে পারিনি। বন্ধুদের জন্য আমি পারলে অনেক দূর যেতে পারি। টেক্কার শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই তাই একদিনের জন্য পৌঁছে গিয়েছিলাম মুম্বই। দু-তিন ঘণ্টা শ্যুটিং করেই টেক্কা-র শ্যুটিংয়ের জন্য ফিরে এসেছি’।
নায়িকা আরও জানিয়েছিলেন, ‘প্রথমবার গণেশ আচার্যর কোরিওগ্রাফিতে কাজ করে দারুণ অভিজ্ঞতা হল। দেখে মনে হয় হুক স্টেপটা খুব কঠিন, কিন্তু আসলে গণেশ জির টার্গেট থাকে গানের আসল স্টেপগুলো যাতে আট থেকে আশি সকলেই পা মেলাতে পারেন, তাই একাবারে সহজ স্টেপ দেন তিনি। এই গানেও সব রাজ্যের সংস্কৃতির মেলবন্ধন দেখানো হয়েছে,বাংলা থেকে আমি ছিলাম সেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। ওখানে শুটিংয়ের কলাকুশলীরা বেশিরভাগই বাঙালি, দিদি বলে ডেকে তারাও আমায় আপন করে নিয়েছিলেন। এই ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত’।