পুজোর সময় ব্যোমকেশের খোলস ছেড়ে নতুন রূপে, নতুন ভাবে ধরা দিতে আসছেন দেব। এবার তাঁকে বড় পর্দায় বাঘা যতীনের চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে। না, এটাই প্রথম নয় যেখানে তিনি কোনও ঐতিহাসিক চরিত্র করছেন। এর আগেও তাঁকে গোলন্দাজ ছবিতে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। বারবার নিজেকে এভাবে ঐতিহাসিক চরিত্রে তুলে ধরার কি কোনও বিশেষ কারণ আছে? কী জানালেন দেব?
বাঘা যতীন পুজোর সময় মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে এই সময়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, 'আজকাল পিরিয়ড পিস করার সময় অনেক পরিচালক আমার কথা ভাবছেন দেখছি। এই তো নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী বা সিরাজদ্দৌলার কথাই ধরুন। কিন্তু আমার মনে হয় না আমি একঘেঁয়ে, একই রকম চরিত্র করছি। আমি নিজেকে একদমই রিপিট করছি না, বরং অভিনেতা হিসেবে নিজেকে এক্সপ্লোর করার চেষ্টা করছি। প্রজাপতি, টনিক, ব্যোমকেশ, বাঘা যতীন- দেখুন প্রতিটা চরিত্র কিন্তু একে অন্যের থেকে আলাদা।' দেব এদিন কথা প্রসঙ্গে আরও জানান যে তাঁর কমফোর্ট জোন হল রোম্যান্টিক ছবি। কিন্তু তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে নিজেকে অন্যভাবে তুলে ধরতে চাইছেন। তাঁর কথায়, 'রোম্যান্টিক ছবিতে নিজেকে দিয়ে হ্যাঁ বলাতে পারছি না। পাঁচ বছর পর তো ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জিং যে চরিত্রগুলি সেগুলি তো এভাবে করতে পারব না, বয়স হচ্ছে আমারও। তাই কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়েই এগুলি করছি। ব্যোমকেশ এবং বাঘা যতীন দুই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং লেগেছে।'
আরও পড়ুন: 'গডফাদার ছাড়াও কঠোর পরিশ্রম করলে সফলতা আসে', পর্দার ইন্দুবালা হওয়ার গল্প বললেন সৃজা
আরও পড়ুন: প্রধানের শুটিংয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সৌমিতৃষার! হোটেলেই মুখোমুখি অজগরের সঙ্গে, তারপর?
বাঘা যতীন চরিত্রটা করার অফার এল কীভাবে? দেবের কথায়, 'সহজ পাঠের গপ্পো তৈরি করার পর মানসের (মানস মুকুল পাল, পরিচালক) সঙ্গে আমার মিটিং হয়। তখন ও আমায় বলে বাঘা যতীনের উপর সিনেমা তৈরি করতে চায় এবং নাম ভূমিকায় আমায় ভেবেছে। কিন্তু তখন ও কোনও চিত্রনাট্য আনেনি। পরে অরুণ দার সঙ্গে যখন মিটিং তখন উনিও এক কথা বলেন। তারপর সেভাবেই এগোনো আর কী!'
প্রজাপতি, ব্যোমকেশ, বাঘা যতীন, প্রধান - পর পর ছবি করে চলেছেন এই ৪০ বছরে এসেও। এই অফুরান এনার্জির উৎস কী? দেবের কথায়, '৪৮ ঘণ্টা এক টানা কাজ করেছি, এমন দিনও গেছে। তবে প্রধানের শুটিংয়ের পর দু তিন মাসের একটা ব্রেক নেব। গত কয়েক বছরে যা যা করেছি কোনটা ঠিক কোনটা ভুল সেটা বিচার করে দেখতে হবে।'