Didi No 1: ছুঁচোবাজি যিশু সেনগুপ্ত, ফুলঝুরি ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিতকে কী নাম দিলেন রচনা?

একসময় বড় পর্দায় চুটিয়ে কাজ করেছেন ঋতুপর্ণা। এখন অবশ্য টিভিতেই দেখা মেলে তাঁর, দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালিকা তিনি। কোন তারকাকে কোন বাজির সঙ্গে করলেন উল্লেখ?

প্রসেনজিৎকে কোন বাজির সঙ্গে তুলনা করলেন রচনা?

দিওয়ালির আমেজে মেতে উঠেছে গোটা দেশ। আলো, মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজাতে যেমন ভালোবাসে সবাই। তেমনই পছন্দ থাকে বাজি ফাটানোও। কেউ ভালোবাসেন ফুলঝুরি, তো কেউ রং মশাল। কারও আবার পছন্দ রকেট। টলিউডের কোন তারকাকে কোন বাজির সঙ্গে তুলনা করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?

সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এ এসেছিলেন টলিউডের নায়িকারা। আর সেই দলে ছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারও। আর সেখানেই দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালিকার কাছে তাঁর আবদার, তিনি কিছু বাজির নাম বলবেন। আর রচনাকে বলতে হবে তা শুনে টলিউডের কোন তারকার কথা তাঁর মাথায় আসছে।

প্রথমেই দেবলীনা বলেন ফুলঝুরি। যাতে সেরকম না ভেবেই রচনা জবাব দেন ‘আমাদের ঋতুপর্ণা’। এরপর ছুঁচোবাজির কথা বলতেই রচনা নাম নেন যিশু সেনগুপ্তর। আর চকোলেট বোম শুনেই রচনার মনে পড়ে যায় ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। বলেন, ‘যেখানেই যায় বোমা ফাটায়’। তবে রকেটের প্রসঙ্গে রচনা বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও রকেট তৈরি হয়নি এখনও। অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।

টিআরপি তালিকাতে বরাবরই টপে থাকে দিদি নম্বর ১ শো। আর টিভির দিদি হিসেবে আলাদাই পরিচিতি গড়ে নিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ছাড়া এই রিয়েলিটি শো ভাবাই যায় না। সিনেমা ছেড়ে তিনি যখন টিভিতে জার্নি শুরু করেন তখনও সবাই একইভাবে অবাক হয়েছিল। তবে শুরুর থেকেই টিআরপিতে টপার এই রিয়েলিটি শো। শুধু তাই নয়, সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে তারকারা, সকলের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে এটি। মাঝে রচনার জায়গায় দেবশ্রী রায়, সুদীপা চট্টোপাধ্যায়রা এলেও কেউ নিতে পারেননি রচনার জায়গা।

আজকাল টলিউডে একের পর এক কাজ করছেন দেবলীনা কুমারও। দেখা গিয়েছে পুজো রিলিজ রক্তবীজ সিনেমায়। শিবপ্রসাদ আর নন্দিতার পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ছবিখানা। এইব সিনেমায় আবির-মিমি মুখ্য চরিত্রে থাকলেও, সকলের পছন্দ হয়েছে দেবলীনা কুমারের কাজ। এর আগে এই পরিচালক জুটির প্রাক্তন, গোত্র, হামি ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

এরপর রাজর্ষী দে-র সাদা রঙের পৃথিবী-তে দেখা যাবে দেবলীনাকে। কাশীর বিধবাদের উপর এই ছবি। মূলত বেনারসেই শ্যুটিং। আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে সমাজে বিধবাদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে গল্প। মুক্তি মণ্ডপ নামে একটি বিধবা আশ্রমকে কেন্দ্র করেই এগোবে ঘটনা।