১৪৩০ পার করে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ পড়তে চলেছে। ২০২৪-এর ১৪ এপ্রিল, রবিবার ১লা বৈশাখ। নববর্ষ নিয়ে প্রতি বাঙালিরই কমবেশি নস্টালজিয়া থাকে বৈকি। এবার নববর্ষ কীভাবে কাটাবেন পর্দার 'মিশকা' ওরফে অভিনেত্রী অহনা দত্ত? সেকথাই Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অহনা।
এবার নববর্ষে কী পরিকল্পনা?
অহনা: আমাদের শ্যুটিং শিডিউল এই মুহূর্তে এতটাই চাপের যাচ্ছে, যে ১লা বৈশাখের আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা করে উঠতে পারিনি (একটু মন খারাপ করে)। এখনও অবধি নতুন জামাটুকুও কেনা হয়নি। আজ (শনিবার) আগে নতুন জামাকাপড় কিনব, তারপর ঠিক করব কী করা যায়। (হাসি)
তবে ওর মানে আমার বয়ফ্রেন্ডের (রূপটান শিল্পী দীপঙ্কর রায়) ইচ্ছে, সকাল সকাল প্রিন্সেপ ঘাট যাব, ভোরের গঙ্গা দেখব। যদিও আমি এখনও জানি না সকালে উঠতে পারব কিনা! তারপর উত্তর কলকাতার কচুরি খেতে যাওয়ারও একটা ইচ্ছে আছে। দেখা যাক, কতটা কী হয়ে ওঠে!
নববর্ষ তো রবিবার, নিশ্চয় শ্যুটিং নেই?
অহনা: নাহ, তা নেই। তবে টানা শ্যুটিং চলছিল তাই পরিকল্পনা করে উঠতে পারিনি। বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া করব, কিংবা বাইরেও খেতে পারি। ঠিক করিনি কিছু। আসলে এই দিনে বাঙালি রেস্তোরাঁগুলিতে যা ভিড় হয়, তাই দ্বিধায় আছি। গতবারও অবশ্য রেস্তোরাঁতেই খেয়েছিলাম। চিতল মাছের মুইঠ্যা ছিল মেনুতে, আমার মনে আছে। (হাসি) এবারও মেনুতে অবশ্যই স্পেশাল বাঙালি খাবারই থাকবে। এইদিন অন্যদিনের থেকে একটু বেশিই পদ থাকে।
নিজেই রান্না করবেন?
অহনা: আমি আসলে রান্নাটা ঠিক পারি না, তাই এসবের মধ্যে ঢুকি না। ওটা রান্নার লোকই করবে। রান্না করে কারোর টেস্ট খারাপ করতে চাই না। যার রান্না খাওয়া যাবে, সে রান্না করলেই ভালো। (হাসি)
ছোটবেলায় নববর্ষ কীভাবে কাটত?
অহনা: ছোটবেলায় মা বলত, আজকের দিনে যা করবি, সেটাই সারা বছর হবে। তাই নববর্ষে ভালো কাজ করার চেষ্টা করতাম, যা কিছু ইতিবাচক। খুব মনে পড়ে, এইদিন বাড়িতে নতুন বিছানার চাদর পাতা হত। মা বলত, স্নান করে নতুন সুতো গায়ে দিতে হয়, মানে নতুন জামা পরতে হয়। মধ্যাহ্নভোজটাও ভুরিভোজ টাইপের হত।
তখন মেনুতে কী থাকত?
অহনা: আমি মটন খাই না বললেই চলে। কখনও খেলে সেটা হয়ত খুবই যৎসামান্য। তবে নববর্ষে মটন হত বাড়িতে, কখনওবা চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি এইসবও হত। আর আমি তো মূলত উত্তর কলকাতার (দমদম) মেয়ে, তাই এইদিন বাড়িতে সকালের প্রাতঃরাশে লুচিটা হতই।
হালখাতার নিমন্ত্রণ থাকত না?
অহনা: হ্যাঁ, তা থাকত। আমার বাড়ির সামনে একটা সোনার দোকান ছিল, সেখানেই যেতাম। মনে আছে, কখনও পেন কিংবা অন্যকিছু গিফট দিত।
নতুন বছরে জীবনে আর নতুনকিছু হচ্ছে?
অহনা: একটা বিষয় হয়তবা হলেও হতে পারে। তেমন চেষ্টাই চলছে। সেটা হল নতুন ফ্ল্যাট। এখন তো আমি আর দীপঙ্কর করুণাময়ীতে থাকি। তবে বারুইপুরের দিকে একটা ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। দেখাও হয়েছে। তবে ৩০ শতাংশ ফাইনাল। এখনই তাই এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
অহনার বাচ্চা
অহনা: আর হ্যাঁ, একটা কথা বলতে চাই। আমি এবার আমার চারপেয়ে বাচ্চাটার (নাম মিষ্টি) জন্য নীল ষষ্ঠী করেছি। উপবাস রেখেছিলাম, গঙ্গায় গিয়ে মাথায় জল দিয়ে পুজোও দিয়েছি।