আত্মনির্ভর হওয়া জরুরি। অন্যদের উপর নির্ভর করবেন না। নিজেই নিজের যত্ন নিন। হবু মায়েদের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎই মুখ খুললেন গওহর খান। অভিনেত্রী মা হয়েছেন, সবেমাত্র ৮ মাস হল। কোলে এসে এসেছে ফুটফুটে প্রথম সন্তান। এরই মধ্যে কী হল অভিনেত্রীর সঙ্গে! তবে কি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাউকে নির্ভর করে ঠকেছেন তিনি! নাকি মা হওয়ার পর কোনওভাবে অসহায় অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন! উঠছে প্রশ্ন।
এর আগে গওহর জানিয়েছিলেন, জেহানের জন্মের সময় অনেকটাই কষ্ট পেয়েছেন তিনি। হঠাৎ প্রসব বেদনায় পড়েছিলেন। এরপর নিজেই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালেও পৌঁছান। তাড়াহুড়ো করে কীভাবে তাঁর ডেলিভারি হয়ে গেল, তা নিজেই বুঝতে পারেননি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী জানেন, আমি গাড়ি চালাতে কতটা পছন্দ করি। গর্ভবতী অবস্থায় এসব রাস্তায় গাড়ি চালানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটাও জানা। তাও আমি নিজেই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে গিয়েছি। আমার স্বামী আমার পাশে বসে ছিলেন। এরপর সাড়ে চারটায় আমরা হাসপাতালে পৌঁছলাম। এরপর জিহানের জন্ম সাড়ে ৯টায়।’
স্বাভাবিকভাবেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকটা ওজন বেড়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। একমাত্র ছেলে জেহানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই মন স্থির করে নিয়েছিলেন নায়িকা। ওজন ঝরাতে হবে। আগের ছন্দে ফিরতে হবে। কাজ করতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। এরই মধ্যে নিজের পুরনো ফিগারে ফিরে এলেন গওহর। ইনস্টাগ্রাম ছবিতে নিজের বিশেষ ছবি শেয়ার করে আনন্দের সঙ্গেই অভিনেত্রী গওহর লিখলেন, ‘আপনিই আপনার পৃথিবী। সকল নতুন মায়ের জন্য, আপনি নিজের যত্ন নিতে পারেন, আপনার জন্য কাজ করার জন্য অন্যের উপর নির্ভর করবেন না’।
কাজের ফ্রন্টে, গওহর বর্তমানে ঋত্বিক ধনজানির সঙ্গে ডান্স রিয়েলিটি শো ঝলক দিখলা জা ১১ হোস্ট করছেন। আর নায়িকার সংসারের গল্প বলতে গেলে এই মুহূর্তে স্বামী-পুত্র নিয়ে জমিয়ে সংসারও সামলাচ্ছেন গওহর। দেওর আওয়েজ দরবারের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক মধুর ওয়াইল্ড কার্ড প্রতিযোগী হিসাবে তিনি যখন শোতে প্রবেশ করেছিলেন, আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছিলেন নায়িকা। লিখেছিলেন, কিংবদন্তি ইসমাইল দরবারের পুত্র হওয়া সত্ত্বেও, নিজেই নিজের কেরিয়ারে পথ খোদাই করেছেন এবং সাফল্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন। তাঁর আত্মবিশ্বাস, তাঁর সদাহাস্য ব্যক্তিত্ব প্রশংসনীয়। যদিও সরাসরি এন্ট্রি পেলেও পরে হাঁটুর গুরুতর চোটের কারণে শো থেকে সরে যেতে হয় আওয়েজকে।