আচমকাই ভারী বর্ষণে দুবাইতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়, যে অত্যাধুনিক এই শহরের জীবনযাত্রা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দুূবাইয়ের অধিকাংশ রাস্তাঘাট, এমনকি বিমানবন্দরও ছিল জলের তলায়। সম্প্রতি তাই বিশ্বের অন্য়ান্য প্রান্তের সঙ্গে দুবাইয়ের বিমান চলাচল পরিষেবাও ব্যাহত হয়।
এদিকে দুবাই যখন জলে ভাসছে, ঠিক তখনই মুম্বই থেকে দুবাই উড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন অভিনেতা রোহিত রায় ও তাঁর স্ত্রী মানসী যোশী রায়। কারণটা ছিল জন্মদিন উদযাপন। এদিকে দুবাই যাওয়ার জন্য মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন তাঁরা। কারণ, দুবাইয়ের সমস্ত ফ্লাইট প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছিল। একথা নিজেই জানিয়েছেন রোহিত।
রোহিত রায় বলেন, ‘৫ এপ্রিল ছিল আমার জন্মদিন আর ১৫ এপ্রিল ছিল মানসীর জন্মদিন। মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরে একটা বিশৃঙ্খলা পরস্থিতির মধ্যে পড়ি। কারণ দুবাইয়ের সমস্ত ফ্লাইট প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছিল। আমাদের ফ্লাইট ৬ ঘন্টা লেট ছিল এবং আমরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১টর সময় পৌঁছেছি। এর আগে বন্য়ার কারণে গাড়িগুলি জলের তলায় ডুবে ছিল। এটা খুবই দুঃখজনক কারণ, এটাও আমাদের প্রিয় একটা দেশ।’
রোহিত জানান, ‘সৌভাগ্য়বশত আমরা যখন দুবাই পৌঁছলাম, তখন দেখি পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কোনওকিছুই আর আটকে নেই। এই কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে সবকিছু কীভাবে আটকে ছিল, সেটা নিয়ে আলোচনার করার থেকে, আলোচনা করা উচিত কীভাবে এত দ্রুত পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এল। মানসী ও আমি দুজনেই সবকিছু উপভোগ করলাম। সত্যিই আশ্চর্যজনক দেশ এটি। আমরা অবাক কীভাবে সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে গেল।’
এদিকে কাজের ক্ষেত্রে, রোহিত রায়কে শেষ দেখা গিয়েছে 'ফিয়ার ফ্যাক্টর: খাতরোঁ কে খিলাড়ি'তে। আর তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী মানসীকে দেখা গিয়েছে টিভি শো কিঁউকি সাস মা বহু বেটি হোতি হ্যায়-তে। রোহিত নিজের ফিয়ার ফ্যাক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘আমি এবার এই শোটি করতে রাজি হয়েছিলাম কারণ আমি বহু বছর ধরে এই শোয়ের অংশ হতে চেয়েছি। আমি স্টান্ট এবং অ্যাডভেঞ্চারের অপেক্ষায় ছিলাম। আমার স্ত্রী মানসী আমাকে শোতে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল’।