আলিয়া ভাটের কেরিয়ারের এক অন্যতম মাইলস্টোন নিসন্দেহে সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবি গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি। সিনেমা ১৬ বছরের একটি কিশোরীকে নিয়ে যাকে পাঁচশো টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয় কামাঠিপুরার এক পতিতাপল্লীতে। ২০২২ সালের পঞ্চম-সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বনশালিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘গবেষণা খুব বিরক্তিকর’ লাগে তাঁর। এবং 'গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি'-র জন্য তাঁর খুব বেশি গবেষণার প্রয়োজনও পড়েনি। কারণ তিনি তাঁর জীবনের ‘ত্রিশ বছর পতিতালয়ের পাশে’ বসবাস করেছিলেন। ‘আমি জানতাম যে এখানকার রাস্তাগুলি দেখতে কেমন, গন্ধ কেমন, মুখগুলো কেমন’, বলেন সঞ্জয়।
পরিচালককে বলতে শোনা গিয়েছে, যখন আমি ‘মাফিয়া কুইন্স অফ মুম্বাই’ এর লেখক হুসেন জাইদিকে ফোন করি যার উপর এই ছবিটি আংশিকভাবে নির্মিত এবং বলেছিলাম যে আমি স্বত্ব কিনতে চাই, তখন তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জবাবে বলেন, 'এটা সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন গল্প একটা।' কিন্তু আমি জবাবে বলেছিলাম, এই গল্পটা মুম্বই থেকে করতে চাই। আমার জীবনের ৩০ বছর সেখানে কেটেছে যেখানে তিনি বাস করতেন। আমি এক গলি দূরে থাকতাম এবং প্রতিদিন এই পতিতালয়গুলির পাশ দিয়ে যাতাম।
বনশালি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘আমি আলিয়াকে অনেক ছোট থেকে চিনি। ও বলিউডে পা রাখার আগে থেকে। ওকে যখন ছবির অফার দেই জবাব আসে, ‘আমি কখনও পতিতালয়ে যাইনি’। আমিই ওকে বোঝাই, তোমার মধ্যে মানসিক সহিংসতা আছে, একটি শক্তি আছে। এই চরিত্রটার জন্য আমি তোমাকেই দেখতে পাই, অন্য কাউকে নয়। তুমি এর আগে এমন চরিত্র করোনি, আমিও এরকম সিনেমা করিনি। আমরা দুজনেই অজানা অঞ্চলে থেকে কাজ কারব।’